সত‍্যই তো মানুষের জীবন যে বড়ই কষ্টের!
আকাশ খানাতে মেঘ গুড়িগুড়ি বৃষ্টির ফোটা
ঐ'দিকে গার্মেন্টস ছুটি হয়েছে সন্ধ‍্যা আটটা
শ্রীপুর নামক এলাকাতে সড়কে যানজট।।


ডবল লেন সড়কটিতে যানবাহনে সামান‍্যতম
একটু জায়গাও নেই ফাঁকা ফুটপাতসহ সবই
গাড়ী-ঘোড়াতে জোড়া' একটি মানুষ যাওয়ার
জো নেই ঐ'সড়ক দিয়া! পাশে ময়লার স্তুপ।।


সড়ক জোড়া গাড়ী পাশে ময়লার স্তুপ ভেঁজা
আর্বজনাতে পা বাড়ায়ে দু'কদম এগানোর নাই
যে জো! কি যে উপায়? ঐ' কর্ম থেকে বেরুয়েই
এই অবস্থার স্বীকার! শরীরে ঘাম দূগন্ধের মন।।


তারপর বাসায় যেয়ে রান্না-বান্না কত রকম কাজ
কখন হবে বাসাতে যাওয়া আর কখন খাওয়া!
সব কাজ-কর্ম সেরে রাত্র বাজবে কমপক্ষে কম
হলেও  এগারোটা হতে বারোটা! আবার ভোর।।


ঘুম হতে পাঁচ কিংবা ছয় ঘটিকায় জাগ্রত হয়েই
রান্না-বারি সেরে গাঁ-গোসলের পর নাস্তা খেয়ে
সাত-সাড়ে-সাতটায় রওয়া হতে হয় কর্ম-সন্ধ‍ানে
সময় আট ঘটিকার মধ‍্যেই' এখন বলেন সত‍্যই।


কি জীবন মানুষের? একে তো মানুষের জীবন
বড়ই অসহায়; জীবনকে জয় করতে কঠোর
পরিশ্রম করতে হয়, তারপর আবার অশান্তির
চরম অপমানের মনের আঁচড়ের অশুভক্ষণ।।


সত‍্যই মানুষের জীবন বড়ই কষ্টের!
আরো কত রকমের অসুখ-বিসুখ!
বিরহ-বেদনা; পারি-পাশ্বিক দ্বন্দের
অসাধের হিসেবের অনেক অভাব।।


সংসারের অভাব-অনাটনে হাত-খাট
সন্তানদের সুখে মানুষ করতে বিষন্নতা'
পরচর্চার বলির স্বীকারে অনেক মানুষ
কত শত কষ্ট মনের মাঝে পোষণ করে!


মানুষ চলে আসছে অভাবের হাসিতে
আট-খানা মন নিয়ে এলোমেলো ভাবনা
মনের চরম অপমান বোধের ধীর মনের
দীপ্তমানের চেতনাতে ভর করে এ'ধরণীতে।


তারপরও হে বিধাতা তোমারই এক মাত্র
দয়াতে রয়েছি ভরসায় এ জীবন নামক
সুখ-দুঃখ-বেদনার-হাসি-কান্না-বিরহের
মননের অপলক ভাবনাতে করবে রক্ষা।।


হে বিধাতা আমাদেরকে! তুমিই ভরসা
ক্ষমা করিও তোমার এই কষ্টার্জিত মানুষকে
রহমত দান করিও সেই ভরসাতে রই যেন
একান্তই আপন জেনে; তুমি ছাড়া কে আছে?
"সত‍্যই মানুষ বড়ই অসহায়" এ'কথাটি সত‍্যই।।
===×××===
===×××===
বাণী: আসলে  মানব জীবনে কষ্টের মধ‍্য দিয়ে অর্জনে সামান‍্যতম সুখ অনুভাবেই প্রকৃত সুখ অনুভব ছাড়া অন‍্য কিছুই নহে। তা ছাড়া যা যাবর।