এক দেশের এক গাধাকে খুবই কষ্ট
করে, এক চাচা তার দীক্ষাতে করে
ছিল কত কষ্ট-দুঃখে না মানুষ! চাচা
ঐ'সেই ভাবনাতে। গাধার বাবা ছিল


না' কর্মঠ' অলস জীবন করতো পছন্দ।
চাচা বেঁচারা মায়াবী হৃদয়ে তাই তো
ভাতিজা বলে কথা! সেই মন-প্রাণের
টানে। ঐ'গাধাকেই চাচা করবে মানুষ।


নিজেই দায়িত্ব নেন আপনত্বের তরেই'
চাচা বেচারা তো খুবই ভাল মানুষ। পাঁচ
ওয়াক্ত নামাজী; সদা-সত‍্যের পূঁজারী;
কভূ তো কহে না মিথ‍্যা; খায় না হারাম;


করে না গীবত; নেই তার পর-চর্চা; হোক
ক্ষতি কাহারো-চাহেন না সে কোন মতেই।
চাচা যে এমন ভালো মানুষ স্ব-চোখেতে
মেলানো বড়ই দ্বায়! ঐ'যে ছিল ভাইপো'


গাধা ভাতিজা শেষ-মেশ! বদমাহিশ ভাবনায়।
এক সময়ে চাচাকেই চেনেন না। আর যাকে সে
চেনেন না; জানেনও না; সবেই ক'দিন না হয়েছে
চোরে-চোরে সাক্ষাৎ? ঘর-জানা নাই; বাড়ি-জানা


নাই; কি করেছে কোথায়? কোন পদে করেছে
কর্ম? প্রকৃত পক্ষেই তার চরিত্র কেমন? জানা
নেই ঐ গাধা'টার। মাত্রই ক'দিন হয়ে পরিচয়ে
দেখায়ে দিতে চেয়েছে অনেক পাহাড়-পর্বত-


হিমালয়-উল্টায়ে-পাল্টায়ে সিন্দু সেঁচে মুক্তা
এনে' উদ্ধার করে পাহাড় গড়বেন মনস্তাবতিক
চেতনাতে। কি যে ভাব ধারার মানুষ? সেই কান্ড
-জ্ঞানহীনকে নিয়েই করতে চেয়েছো তামাশা।


হায়রে মানুষ তোমরা? অন্যায় পথে ইভ্যালী'
চটক-বাঁজের ন্যায়ে; অপরের পঁয়সা হাতায়ে
আখের জোগাড়ে ব্যস্ত যারা। তারাই হয় হট-
কারীতেরই সত্যবাদী যুথীষ্টির আদর্শের সেরা।


চাচা বলে ছিলেন দেখরে ভাতিজা শোন!!
তোর বাবার অভাব দেখে করেছি তোকে
মানুষ। করবি ভালো কর্ম। হবি সমাজেরই
গুণি লোক। ভালো থাকবি ভবিষ্যতে। ঐ'


সেই ভাবনাতে অনেক ছওয়াব হবে এই
জীবনের তরে! এখন দেখি তুই যে চাচা
-কেই চিনিশ না। ফালতু লোকের ধোকায়
ঈমান নষ্ট করে, বিবেক বিসর্জনে এই কি-
তোর কর্ম? জীবনটিতে যে সুখ আসবে না।


দুঃখ আসবে নেমে। সেই দিকেই তোমার
মনটি বেঁজায়। এখন দেখি নিজের চাচাকে
চেনই না। যে তোমার দায়  নিয়েছিল ঐ'
ছোট্ট বেলার অবহেলাতেরই সময়টিতে!


সেই চাচাকেই বিনা কারণেই মারতে চাহ!
দেখতে কি পাওনা! এ কি তোমার কর্ম?
হৃদয় বলতে নাই কি তোমার কোনই মন?
যাকে তুমি আজ অন্ধ বিশ্বাসে ভাল বলছো!


সেই লোকটিই যে বড়ই শয়তানের হাড্ডি।
ঘরের' মধ‍্যে প্রদ্বীপের আলোতে দিবালোক!
সেই আলোকে দেখতে পাওনা? অজানা গহীন
অন্ধকার জঙ্গলকে বলে থাকো বেজাই ভারী


আলোর আলো দ্বিবালোক। হায়রে অপদার্থ
সরণ-খোলা মনের; জ্ঞান হবে তোর কবে?
তুই যে চোখ থাকেও কানা। যাকে তুই বল
-ছিস ভাল লোক! সে কেন চেনে না কোন


লোকটি ভাল? ভালো লোক যদি'ই চিনতো
তিনি, তাহলে অবশ‍্যই নিতো-চিনে! তবেই
বুঝতো সঠিক কে? হতে হতো কি পরচর্চার
গিবৎ কারী? সেই ভাবনাতেই; রয়ে মন।


চলতো এক-নিষ্ঠারই অপূর্বের। পর-চর্চা
নাহি করি! জেনে বুঝে প্রশংসায় হতে চাহি
পঞ্চমুখ। পাপ কাজে নাহি পড়ি' ওরে পাপী!
না চিনেই না জেনেই প্রশংসা! যে জন চেনে

না আপনকেই? সেই লোকের আবার শয়
-তানের প্রশংসার পঞ্চমুখের গল্প-স্বপ্ল। শুনি
খুবই খুঁশি মনেতে। আরে অবুঝ! হবি কবে
বুঝের? সত‍্য না জেনে অসত‍্যকে সত‍্য মনে


পঞ্চমুখ! যা আসলেই অসত‍্যের সামিলেরই
তরে' সৎ লোকের বেসামাল গল্পে মাতালে।
প্রকৃত পক্ষে ঐ'সমস্ত মাতাল নামক হারাম-
জাদা কর্মচারী ও কর্মকর্তা হতে সাবধানতায়'
সর্তকতা ও অবলম্বন করে চলাই উত্তম ও শ্রেয়।
===***===
===***===
বাণী: কোন লোককেই ভালো ভাবে না জেনে-বুঝে কোন অবস্থাতেই সেই লোকজনকে প্রশংসা করা বা সত‍্য-নিষ্ঠা বলে মনে করাটা সঠিক নয়। কারণ ধর্ম বলে; কৌতুক করিয়াও মিথ‍্যা বলা মহা-পাপ। সেই জন‍্যে কোন লোকের সাময়িক সাধু -সেজে ভালো মানসিকতা দেখানোর কি যে পটুর ওস্তাদ। তার শুধুই নিজস্ব স্বার্থ উদ্ধারের সময়টির জন্যেই ঐ'রুপ ধারণ করে থাকে। ঐ'সমস্ত অপরাধী স্বার্থপর লোক গুলির স্বার্থ ফুরালেই ঐ'খান হতেই অজানাতেই উড়াল দেয়। তাই হঠাৎ কাউকেই একেবারে ভূয়সী প্রশংসা না করাই উত্তম ও শ্রেয়।