আমরা শ্রমিকেরা করি কর্ম অল্প-স্বপ্ল মুজরী
যা পাই লবণ আনতে পান্তা ফুরায়।
যে হারে দ্রব্য মুল্য চরা দাম শেষ কোথায়?
মাস শেষ যা পাই সেই ভরসা তৃপ্ত!


দেশ যেন এক অভাব মান মূল্য অভাবীরা
কোথায় স্বর্গ কোথায় নরক অজানা।
শিল্প বাঁচলে দেশ বাঁচবে এ'কথাটিই সত্য
সেই শিল্পকে কখনো নয় ধ্বংস।


তোমরা দাবী-দাওয়া করো সভ্যতা বজায়
জানি আমি সভ্যতায় রয় না মনুষ্য!
সে মন নিয়ে করছো তোমরা শ্রম অসন্তোষ
সাবধান নিজকে বাঁচাও পর অন্য!


নিজে বাঁচলে সেই না আন্দোলন আর নয়
কোন ঐ'রকম অযাচিত কর্ম-ধর্ম।
সকল জনতা বল তোমরা এ'ধরারই বুকে
বাঁচতে চাই সকল মোরা সুখ-দুখে।


করবো না আন্দোলন আর কখনোই শিল্প
কাজ করি সহমর্মিতা মন চাই গো।
তাই মোরা খুঁশি আপন ভূবণ সমেত সকল
দেশ বাঁচুক শিল্প বাঁচুক তাই চাই।


আশা শোন শ্রম অসন্তোষ দলনেতা জনতা
এমন কোন কর্ম করা যাবে যা ক্ষতি!
নিজ জীবন তথা যেথায় দু'টি লবণ নে'মক
সেথায় কখনো শান্তি দেখা মিলবে কি?


এসো সংকল্প করি কর্মঠ যোগ্যতা পূরণে
তবে সেই যোগ্যতাই সুস্বপ্ন দেখবে।
অলস কথা শ্রম আন্দোলন অযোগ্য মনুষ্য
হবে কি লাভ অবুঝ শ্রম অসন্তোষরা?


ভাগ্যের চাকা হয় না পূরণ অসম্ভবকে আশা
কি লাভ হবে বলো এমন আন্দোলন?
ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়রানী বিলাপ ধ্বংস
স্বর্গ নয় যেন আশায় গুঁড়ে বালিচূড়া।


তোমাদের যে বিকাশ কর্মখানা জীবন মান
তাতে লাভ নেই শোন বোকা সকল;
জীবন মানে অনন্য কষ্টার্জিত মূল্যবোধের
তারাই সেরা লবণ ভাত খেতে পায়।


সুখ সেথা যথার্থ অভিপ্রেরত অসীম সীমা
যুদ্ধ ক্ষেত্রে যেমন সৈনিক চলমান।
জীবন যায় যাক না তবু জয় জয় পরাজয়
গরীব মানুষ অল্প মূল্য জীবিকা।


হাজার চেতনাতেও নয় সুখ এমন সভ্যতা
তাই তো বলি শোনরে মানুষ হও!
উপযুক্ত মানুষের মতন মানুষ নয় বিধ্বংসী
কখনো করবে না ধ্বংস কর্মশিল্প।
×××××××××××××××××××××
বাণী: শ্রমিক আন্দোলন তখনই কার্যকর। যখন শ্রমিকেরা তাদের ন্যায্য মূল্য পায় ও সেই মূল্য শ্রমিকেরাই মর্যাদা দিতে জানে। অন্যথায় শ্রমিক প্রতিনিধিরা যখন লোভের বশঃবর্তিতে অসাধু উপায় পাঁয়তারা করে মিথ্যা ফাইদা শ্রমিক ভাই অপর শ্রমিক ভাই-বোনদের সুযোগ বিনষ্টরত হয়। সেই আন্দোলন কখনো সফল শ্রমিক দাবী-দাওয়া পূরণ অন্তরায়ই রয়ে যায়। এমন কর্ম মানুষ শ্রম সুবিধা ভাবনায় অন্তরায় ছাড়া আর কিছুই নয়।