আমি মানুষ হতে পেরেছি কি না অজানা
তবে আমি আমাকে এতোটা জানি!
অমানুষ মোটেও নই এ'সমাজ ভব-তটে
এমন কোন কাজ করিনি অমানসিক।


জীবন চলারই পথে এমন করিনি কারো
সহিত যেন তার ক্ষতি হয়েছে।
করেছি ক্ষতি কোন কালেরই এ'ধরণীতে
বরং কখনো কেউ উপকার করেনি।


তবু আপন জনাদেরই কল‍্যাণে যতটুকু
সম্ভব শতকষ্ট দুঃখ বেদনা মধ‍্য!
সচলতা পেয়েছি কর্মময় জীবন তটেও
হালাল অর্থদ্বারা প্রচেষ্টা করেছি...


আপনজ'না আত্মীয়-স্বজন অচেনাদেরই
শতশত লক্ষ কোটিরও বেশি অর্থ!
উপার্জন করেছি এই পবিত্র দু'হাত দ্বারা
পা দু'টিও জানে চোখ দু'টিও বলে।


স্বাক্ষী সকল অঙ্গ-প্রত‍্যঙ্গ একান্তই নিজস্ব
কেউ বিশ্বাস করুক বা না করুক।
আমি জানি আমাকে জানে আমার বিধাতা
আমি কেমন; তিনি জানলেই যথেষ্ট!


মানুষেরা তেমনটা জানার দরকার নেই কি
মানুষ হল পরগাছা ডালে ভর করে.
অন‍্য ডালে ভরসায় খেয়ে-পড়ে বড় হয় ঐ'
যে অপরের খেয়ে বেড়ে উঠেছে সেই..


কথাই ভুলে গিয়ে লুকায় অন‍্য দরজা পাল্লায়
ভিত্তিহীন মানুষ অস্তিত্বহীন অর্থাবস্থা!
নিজ সুখ বিসর্জন দিয়ে করতে চেয়েছি অর্থ
দ্বারা তাদের সুউচ্চে উঠতে সহযোগিতা!


সেই তারা খেয়ে পড়ে আরাম পেয়ে আসল
কাজটি করেনি, করেছে অপ্রিয় কর্মকান্ড।
অপ্রাপ্ত বয়সে প্রেম-প্রীতি লীলা-খেলায় রত
জেনে বলেছি ঠিক আছে সমস‍্যা কিসের?


ধরে রাখো তোমাদের প্রেম-টেম আগে মানুষ
হও; পড়া-লেখা শেষ করো; কর্ম করো;
তারপর ঐ'মেয়েটাকেই বিবাহ করিও কেমন
কে কার কথা শোনে ধূলায় অন্ধকার!


তাদের অনৈতিক চাওয়াতে সাঁই দিলেই ভাল
নয় তো তুই বেটা কার বাপের বেটা?
এই হল উপকার ভোগী পরোপোকার প্রতিদান
বিধাতা বিধানে অপরকে কল‍্যাণ নিজও।


কোথায় নিজ কল‍্যাণ ধরা ছোঁয়ার বাহিরেই রয়
তারা উপকার অস্বীকারে সুউচ্চে মন।
পরিচয়ই দিতে দ্বীধা-দ্বন্দে মন সংকুচিত দেখায়
ছেড়ে দে মা কান্না করে দুঃখ মেটাই।


সেই সুখি বড় সুখ; তবুও ওরাই ভাল থাকুক না
এমন করেই মনের শান্তনা রাখা চাই।
হে বিধাতা তাদের সুখে রেখো আবারও দোয়া
তাদেরই জন‍্য, তারাই সুবিধা ভোগী।


এই সমাজে অপরাধীদের কোন পাপ নেই; সমস‍্যা
নেই; ওরাই সমাজে সুখি। প্রকৃতই কি সুখি?
হারামের আরাম নেই প্রবাদ বাক‍্যটি যথার্থ সঠিক
ওরা ঐ'নিয়েই সুখভোগ আনন্দ শুকনা মুখ!


শয়তান যেমন পরাজয় বরণ করে না, ঐ'রকমের
অমানুষেরাও পরোপোকার অস্বীকার করে।
ওদের উপকার করতে যেয়ে দু'শতাংশ জমি কিনিনি
নিজ নামে। আর ওরা দু'টাকা আয় করেই...


করছে বাড়ি, জমি-জমা-বিবাহ্ শাদী, বেশ হাসি-খুঁশি
এখন আমায় অর্থকষ্ট দেখা দিলে কে দিবে?
যাদের কল‍্যাণে বিলায়ে দিয়েছি, তারা তো অধরা পথ
তারা নিজস্ব স্বার্থপরতায় বিধি-ব‍্যস্ত অমানুষ।


আমার মতন নিজকে বিসর্জন দিয়ে কেউ যেন কাউকে
কল‍্যাণ না করেন, বলে যাচ্ছি এ'ধরীতে।
মানুষ আর মানুষ নেই, অমানুষে ভরে গেছে আপন-পর
বলে কথা নেই; ওরা একাই বড় হয়েছে।


নিজ কল‍্যাণ আগে; তার পর যথেষ্ট হলে সম্ভাবনা অন‍্য
না করলে কোন পাপ নেই; হাদিসে উল্লেখ‍্য।
কিন্তু উপকার করে বললে না পাপ হয়, তবে ঐ'রকম
উপকার না করাই উত্তম, উল্টাপাপ অর্জনে!


আমার এ'লেখায় কেউ নিবে না অন‍্য ভাবে সমাজটি
বলছি সঠিক জীবন অভিজ্ঞতা আলোকেরই।
পাপ কাজ করবে না কখনো; কারো উপকার করতে
পারবে কি না অজানা; তবে অন‍্যায় কর্ম নয়।


এমন সুখ জীবনই কামনা নিজ কল‍্যাণী হতে এ'ধরা
তবেই সুখের পরশ পাবে অনুকূল স্বর্গসেরা।
একে অপর ভাল থাকি; থাকবে না বিরহ-অনুতাপটি
এমন জীবন কামনা মন প্রশান্তি অনন‍্য সুখ।
******************************
বাণী: শতকষ্টার্জিত বৈধ অর্থ দ্বারা আগে নিজস্ব খাদ‍্য-বস্ত্র-বাসস্থান-শিক্ষা-চিকিৎসা-পরিবার জীবন গড়ার নিরাপত্তা এবং আল্লাহর হুকুম পালনে ব্রতঃ হওয়া। এরপর পরিপূর্ণতায় সেবা করার সুযোগে আল্লাহ্ তেমন অর্থ দিলে তবেই আপন-পর সেবা কার্য করা বাধ‍্যতা মূলক। অন‍্যথায় এক সময় নিজ বিপদে একমাত্র আল্লাহ্ ব‍্যতীত কাউকেই পাওয়া যাবে না।এই সমাজে আমার জীবন ও কর্মময় জীবনের অভিজ্ঞতার আলোকে প্রকাশিত।