আব্দুল মজিদ (পর্ব-২)
হায়রে আব্দুল মজিদ তুমি!
আ = আহলাদেই ভরিয়া রাখিতে কেন চাওনা তোমারই মন?
ব্দু = ব্দু'মজিদ তুমি তো অনেক লক্ষী ছেলে!
ল = লও না দীক্ষা নিজেকে জানিতে।


ম = মনকে তোমায় যদি করিতে নিয়ন্ত্রণ
জি = জিহাদীর খাতায় নামটি হইতো লিখা
       (সকল লোভ লালসা নাই বলিয়া তোমাতে)
দ = দরদী হইতে পারিতে নিজ স্ত্রী ও সন্তানেরই।


ওরে! আব্দুল মজিদ আর কি বলিবো তোকে?
কালই বলিয়া ছিলাম হইতে আত্ন:সংযোমী'
দিন ক্ষণ পারি না দিতেই আজ বাতিক চড়ালি;
স্যার একটি কথা জানাই আপনাকে' আমার সখ'
হইয়াছে একটি টাচ্ মোবাইল ফোন কিনিতে!


তা বেশ যে টাকা মাহিনের চাকুরী করিস?
পরিবারে খাওয়া-পড়ার লোক সংখ্যা কত?
আমি বলিলে কি আর শুণিবা! জানোনা যে
তেমন পড়া-লেখা করনা তেমন কাজ-কর্ম;
কি করিবা তুমি দামী ফোনটি ক্রয় করিয়া?
তোমার যে ফোন রহিয়াছে ঐ'টার কি সমস্যা?


ঐ প্রশ্নের জবাবে বলিয়া ওঠে স্যার!
কি যে বলেন! অনেকেই ব্যবহার করিতেছে;
হাতে দেখিতে ভালই লাগে! আমি বলিলাম
আরে বোকা আব্দুল মজিদ ঐ ভাল লাগার কি
আর শেষ আছে? এতো বড় জ্ঞানের কথা বুঝবি
কি করিয়া?


ঠিক আছে! কিনিলে একটি দামী টাচ্ ফোন!
কি করিবা? ব্যবহার করিতে পার কি তুমি?
বলিলো না! আস্তে আস্তে শিখিয়া লইবো'
দারুন তো! ব্যবহার শিখিবার পর কি করিবা'
ছবি উঠাবো আমার বাচ্চার, পরিবারের,
আমরা ঘুরিতে যাইবো সেই সবেরই স্থানের,
আত্নীয়-স্বজনের। তা বেশ চুরি বা নষ্ট হইলে
তখন কি করিবে? আরেকটি ক্রয় করিতে
হইলে টাকা পাইবি কোথায়? সে বারণ
শুনিতে রয় যে না'খোশ! তাতে কি লইবো
যে আরেকটি; আস্তে আস্তে জমায়ে পঁয়সা।


যে মোবাইলটা রহিয়াছে যত্ন করিয়া কর
ব্যবহার; ঐ টাকায় ছেলে-মেয়েকে একটু
ভাল জামা-কাপড় দাও না কিনে শীতের
সময় কত কষ্ট করিতেছে তারা। আব্দুল
মজিদ বলিলো স্যার, আমার স্ত্রী'কে বলেছি
সে রাজি আছে! সম্ভব হইলে কিনতে বলেছে'
আচ্ছা তাই! মনে মনে বলি হায়রে মজিদ
আব্দুল মোবাইলের সখ তাই না! তবে সখ
করিয়া অর্জন করো না ভাল কর্মের ও জ্ঞান
উপলদ্ধির? সেই পারাটা বড়ই দায়!


ঐ দিকে খেতে হয় ধার-কর্য করিয়া এই
দিকে টাচৃ মোবাইল ফোন ক্রয় করিয়া হাতে
লইয়া করিয়া বেড়াই ফুটানি। ঐ সমস্ত আব্দুল
মজিদের হয় না কোনই টেনশন ও মাথা ব্যথা।
কারণ ওরা তো ওরাই! ওরা বোঝে না মানুষ কি?
যোগ্যতা কি? অর্জন কি? শুধুই খোঁজে সুখ!

জ্ঞানী জন মনে করিয়া থাকি ওদের করিলে
মানুষ হয় তো হইতো ওরা আমাদের মতন'
আসলেই কথাটি সঠিক নহে; যে মানুষ হইতে
চাহিবে সেই নিজ হইতেই হইবে সংযোমী।


সেই মতে বলিতে চাহি মাকাল ফলও যদি
হইতে চাহে দামী! সেই নেশায় হয় যদি ব্রত:
হয় তো কখনও সেই যেখানেই দেখিবে ছাঁই
উড়াইয়া দেখ তাই পাইলেও পাওয়া যাইতে
পারিবে অমূল্য ধন। কিন্তু! মানুষ এমনই জন'


যা সহজেই হইতে চায় না কর্তব্য পরায়নের
সহজ লব্দ জ্ঞানের প্রকৃত গুণিজন। ঐ দিকে
ঠিকই চাহিদা রয় লোভ লালসার আকাঙ্খার
সেই আব্দুল মজিদেরই মতন কতশত জনের
চাহিদা টাচ্ মোবাইল ফোনসহ অন্যান্যেরই।


কাকে দিয়া আসছি মোটিভেশনাল নামক
মৌলিক প্রশিক্ষণ? নিজ জীবনকে করিবে
স্বাবলম্বী? তার পরও মানব জীবনের মানবতার
তরে রয় যে মানব কল্যাণে মোটিভেশনাল
নামক সহায়ক মানব উন্নয়ন মন ও সংস্থা।
ঐরুপে রহিয়াছে অনেক আব্দুল মজিদ তারা
কোনই মোটিভেশন নিবে না জানি! তারপরও
চলিবে মোটিভেশন যা না করিলে হইবে না'
বিধাতারই নিয়মের মানব কল্যাণের ন্যায়!
মানবতারই কল্যাণ কর কাজের সাধন-ভোজন।।
===×××===
===×××===
বাণী : শরীরে ব্যবহার জনিত ময়লা জামা-কাপড় অর্থাৎ, পোশাক-পরিচ্ছদ সাবান জাতীয় সমজাতীয় ওয়াশিং পাউডার দ্বারা ধৌঁত করিলে পরিস্কারের পর শুকাইয়া ইস্ত্রি (আয়রণ) করিয়া যে উৎসাহ নিয়ে পরিধান করা যায়! সেই উৎসাহ কিন্তু অবুঝ, বোকা ও নোংরা মানুষদের যতই মোটিভেশনের ন্যায় সংশোধন করিয়া স্বাভাবিক জীবন দিতে চাওয়া হউক না কেন' সেই সকল মানুষ গুলি! কখনই জ্ঞান উপলব্দির প্রকৃত মানুষ গড়ে উঠিয়া পরিবার ও সমাজকে ঐ শরীরে ব্যবহারিত ময়লা পোশাক পরিস্কারের ন্যায় ব্যবহার যোগ্য হয়ে উঠিতে পারে না। প্রকৃত পক্ষেরই বিধাতার নিকটে একান্তই এক নিষ্ঠ্য চাওয়া ও পাওয়ায় না চাহিলে। মানুষ রুপের অধম হইয়াই সমাজে অপ্রিয় অনাকাঙ্খিত চাহিদায় টাচ্ মোবাইল সখ নামক অভাব নিয়াই বসবাস করিতে থাকিবে।