চাকরিটা পেয়ে আমি রিজিকের টানে,
গ্রাম ছেড়ে চলে আসি শহরের পানে।
স্মৃতিগুলো ভেসে ওঠে হৃদয়ের মাঝে,
একা একা বসে ভাবি সকাল ও সাঁঝে।


পাখির কূজনে সদা ভেঙে যেত ঘুম,
বাগানেতে ছিল ফল কুড়ানোর ধুম।
ভোর বেলা ওঠে রবি অভ্র রাঙা করে,
আমাদের গ্রামখানা দিত সিতে ভরে।


প্রতিদিন বিকেলেতে মাঠে কত খেলা
সবান্ধবে মজা করে কেটে যেত বেলা।
আলো ভরা ছায়া ঢাকা সবুজের গায়ে
ঘুড়িখানা উড়াতাম মৃদুমন্দ বায়ে।


রাত্রিবেলা শশধর ঢেলে দিত আলো,
ঘুচিয়ে দিত রাতের গাঢ় যত কালো।
ঝিঝির ক্রন্দন শুনে এই দুটি কানে
হারিয়ে যেতাম আমি প্রকৃতির টানে।


জীবিকার তরে আজ আছি বহু দূরে,
হৃদয়ে বাজে না সুখ পুরানো সে সুরে।
নিজ গ্রামের স্মৃতিটা নিত্য উঁকি মারে,
নিরালায় বসে কাঁদি বোঝাবো তা কারে?