আমার আকাশের সূর্য অস্ত যাবে না কোনোদিন
এই মনে হয়েছিল জীবনে আমার বারবার
বিশাল আকাশ আমার, সেখানে চাঁদ আছে
তারা আছে গ্রহ আছে নক্ষত্র আছে;

আমার আকাশ থেকে ঝরে পড়ে জোছনা
এ পৃথিবীর বুকে;সাগরের নীল জলের ওপর
আছড়ে প'ড়ে চিকচিক করে হাসতে থাকে
সাগরকন্যার সাথে;


জোছনার ঐ স্নিগ্ধ মিষ্টি আবছায়া আলোর মাঝে
প্রিয়ার মুখপানে চেয়ে থাকি অনন্তকাল;হাত ধরে
হাটতে থাকি না ফোরানো সীমানাহীন কোনো
প্রান্তরের দিকে;


হঠাৎ করে শুনতে পাই কু করে ডেকে ওঠা অদেখা
পাখির ডাক বনের ভিতর থেকে,আমার আকাশের
গাড়ো টগবগে রক্তে জোয়ান অশ্বের গতিতে ছুটে
চলতাম চারিদিক ইচ্ছের ডানামেলে;
সুঠাম সুন্দর দেহের অধিকারী আমার সে আকাশ
মেদহীন একেবারে; বজ্রমুষ্ঠিতে খান খান হয়ে
ঝরে পড়তো শক্ত পাথর ;ধুলা হয়ে উড়তো বাতাসে
চারপাশ;

ভাবতাম আমার আকাশ গাছ পাখি পাথর হয়ে
এভাবেই চলতে থাকবে অবিরাম চিরকাল
হবে না যে এর কোনো শেষ কোনোদিন।


আজ আমার আকাশের গা নরম তুলতুলে
বিড়ালের মতো ঝুলে গেছে;শিথিল হয়েছে রক্ত
ঝিমিয়ে পড়েছে আমার বিরাট আকাশ;নেই তার
আজ কোনো সতেজ সজীবতা;রক্ত আর বলে না
কোনো কথা আজ;
হেলে পড়েছে আমার আকাশের সূর্য আজ পশ্চিমে
রক্তিম আভা ফুরিয়ে সান্ধ্য কালীন বার্তা দিয়ে
গেলো ঝিঝি পোকার কাছে;
ডুবে গেলো একেবারে ডুবে গেলো ঘোর অন্ধকার
করে আমার আকাশের সূর্য,নেমে এলো অমানিশা।


আমার আকাশে যে সূর্য ছিলো এখন আর নেই
তার আভা;নেই তার অস্তিত্ব কোনো আজ
পিপড়ার গতিতে ধীরে ধীরে অস্তমিত হলো
আমার আকাশের সূর্য।


তেমনি একদিন তোমাদের ও হবে একই হাল
বইবে না রক্তের এ টগবগে নদী;শুনবে না
স্রোতের ভেসে যাওয়া কুলকুল রব;বাজবে বাশী
হুইসেল বিউগলের সুর ;
থেমে গেছে; যাবেও, সব কোলাহল, কাল মহাকাল
ধরে;
ডুবে যাবে তোমাদের ও আকাশের সূর্য
একদিন একেবার!