আমার গাঁওএর স্কুল ছিলো গ্রামের দক্ষিণ মাথায়
স্কুল যদি ও আমার গাঁওএর নাম ছিলো না তথায়
দুটি গাওএর একটি স্কুল অবস্থান আমার গ্রামে
জোকার মানুষ ভাবলো এবার ডাইনে নাকি বামে।


জোকার মানুষ বললো এসে স্কুলতো নাই জোঁকা
তবে কেনো সরল পথকে করছো তোমরা বাঁকা
দু'গাঁও মিলে একটি স্কুল অবস্থান যে বাঁকা
তবে সেথায় দু'গাওএর চিত্র ভিন্নভাবে আঁকা।


ফ্যাঁসাদ ফ্যাঁসাদ ভারী ফ্যাঁসাদ এ কোন্ ফ্যাঁসাদ ভাই
এ ফ্যাঁসাদে অংশ নিলে তার যে রক্ষা নাই
জায়গা আমার জমি আমার ভুল ছিলো না কোনো
তবে কেনো স্কুলের নাম দুই গ্রামের হলো।


জোঁকার মানুষ বললো এসে স্কুল বাঁকায় হবে
জোঁকার নামটি তখন বলো কোথায় চলে যাবে?
বললো হেসে বাঁকার মানুষ তাতে তোমার কি?
জায়গা আমরা স্কুলেতে দান যে করেছি।


জোঁকার মানুষ বললো এসে গ্রামে স্কুল নাই
নাম লেখানোর অধিকারটুকু আমরা শুধু চাই
চললো লড়াই মুখে মুখে বাকযুদ্ধ তার সাথে
দুষ্টচক্র লাগলো পিছু লাগলো তারই সাথে।


যুক্তিবাদী বিদগ্ধজন বললো কথা ঠিক
সরকারি লোক পড়লো হেসে পড়লো দিগ্বিদিক
সত্যি-ই তো কাজের কথা নামে কিবা হবে
দুই গ্রামের নামেই না হয় স্কুলের নাম হবে।


সরকারি আর এলাকার লোক বললো ভেবে সবে
জোঁকাবাঁকাই স্কুলের নাম লিখি না চলো সবে
মিললো সবাই অবশেষে স্কুল দু'গাঁও নামে
জোঁকাকাঁকা হবে স্কুল আর কি আছে কামে


এখন বাবা কি করা যায় জরুরি এক সভা
ডাক দিলো সব কর্নধরে এখন কোথা যাবা
সেদিন হতে জোকাঁ বাঁকা স্কুলের নাম শুরু
বাঁকায় বসে স্কুল আমার ডাকলো গুরু গুরু।


জোঁকার মানুষ পেল না কিছু পেলো শুধু ই নাম
বাঁকার মানুষ বললো হেসে নামে ই কিবা কাম
সেদিন হতে স্কুল আমার জোকাঁ বাঁকা শুরু
হাফ ছেড়ে হায় বাঁচলো সবে বাঁচলো নষ্টের শুরু।


বাচঁলো সকল হুমড়া চুমড়া মার গুঁতো সব থেকে
সরকারি লোক বাচঁলো আরও চাকুরী খোঁয়া থেকে
এখন গাঁও এর ভিন্ন চিত্র সদা হাস্য ভাই
হাসতে থাকে দাত কিলিয়ে ক্ষতির কিছু-ই নাই।


গ্রামে গ্রামে স্কুল এখন এসব নিয়ে কেবা
ভাববে আহা কারণ ছাড়া ভাববে নিয়ে সেবা
এই হলো মোর গাঁও এ-র স্কুল যেথায় পড়া শুরু
কতো জনায় বড়ো হলো বড়োর সেরা গুরু।


প্রমি আজি সকল জনে প্রমি সবার তরে
এ স্কুলের ছাত্র ছিলাম ভাবলে হৃদয় ভরে
আমরা যারা ছাত্র ছিলাম আসুন দেশের তরে
এলাকাতে করি কিছু আপন হৃদয় ভ'রে।  


প্রকাশস্থানঃ
বাংলো
জেলা ও দায়রা জজ
সুনামগঞ্জ ।


প্রকাশকাল-
সময়ঃ ০৪-২৩মিনিট
তারিখঃ
বাংলা=         ১৪২৭
ইংরেজী=০৮-০২-২১