আমার বেদনার্ত হৃদয়ের কথা নিয়ে আজ আর ভাবে না কেউ
ভাবে না এ জগৎ সংসারে
এ পৃথিবীতে কে কার তাই শুধু ভাবি সদা একা আনমনে
ক্ষতবিক্ষত দেহ মন হৃদয় আজ সবুজ ঘাস হয়ে কাঁদে
একবার কথা কয় ঘাসে বসা ফড়িং এর তরে
চারপাশে আজ হলুদ সরিষা ফুলে ভ'রে উঠেছে মাঠ
মৌমাছিরা মহানন্দে সোৎসাহে মেতে উঠেছে মৌ খাওয়ার তালে
একঝাঁক পায়রা সদলবলে উড়ে গিয়ে আসন গেড়েছে ঐ টিনের চালে
সাধ হয় তাদের জোটবদ্ধ সুরের ঝুমুর তোলে তালে আর তালে
দাড় ধরে বসে আছে মাঝি কোথায় যাবে
জানে না সে
তবুও ভেসে যায় নৌকা ঐ সীমাহীন গন্তব্যে
ক্লান্ত সবুজ বনানী আরও ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়ে ঐ প্রকৃতির কোলে
ঢোলে পড়ে মাঝরাতে নিঝুম অন্ধকারে
চারদিকে জোনাকির বাতি জেলে উ'ঠে দূরীভূত করে সব অন্ধকার
দোয়েল পাখিটি নিশ্চুপ বসে থাকে গাছের ডালে
মুরগির ডাক শুনে আড়মোড়া ভেঙে ডানা ঝাপটায় তারা
জানান দেয় কৃষাণ কৃষাণী কে ভোরের বার্তা ভোর হয় দুপুর আসে
গোধূলি আর সন্ধার অন্ধকারে হাঁসগুলো ফিরে আসে নিজ নিজ ঘরে
ডাকেনা কেউ তাকে ফিরে আসবার তরে
তবুও সে আসে বারেবারে ফিরে মালিকের ঘরে
পৃথিবীর সব কিছু চলে তার নিয়ম মেনে
শুধু চলেনা আমার ক্ষতবিক্ষত দেহ মন হৃদয় 
নেয় না কেউ খোঁজ আমাকে আজ এই পৃথিবীর পরে
শুধু জানি আমি একা আজ আমি বড়ো একা
আর কেউ থাকে না পাশে দেয় না তো দেখা
কথা কবো হাসবো চা খাবো এমন লোক কোথা পাবো আমি?
বেলকনিতে দাঁড়িয়ে বিশাল আকাশ পানে তাকিয়ে
বড়ো অসহায় মনে হয় নিজেকে
দু'চারটে বিমানের আনাগোনা
দোয়েল পাখিটি শিষ দিয়ে খুঁজে ফেরে প্রিয়াকে
সকলেই মনে হয় মিলেমিশে আজ একাকার
কিন্তু না এ পৃথিবী তে আজ দেখি সবাই একা
তাই আমি আর পাইনা খুঁজে গাঙ চিলের দেখা
এ কঠিন সত্য কে মেনে বাকি পথ চলি সবে একা