করোনার এ নিষ্ঠুর থাবা মানবজাতির জন্য
বড়ো রকম ধাক্কা এযে হরেক রকম ভিন্ন।
ছুল ধরেছে রূপ ধরেছে চরিত্রের নাই শেষ
ক্ষমতা তার দেড় বছরে বেড়েছে অশেষ।


নাক দিয়ে সে ঢুকতো আগে মুখ দিয়ে ও কতো
হরেক রকম দরোজা এখন ঢুকতে মজা শতো।
কেমনে মারে কোন দিক থেকে বোঝার উপায় নাই
মানবজাতি আমরা এখন কোথায় বলো যাই।


তৃতীয় বিশ্বের গরীব দেশে আমরা করি বাস
নুন কিনতে পান্তা ফুরায় করি যে হাস পাস।
এরি মাঝে এলে বাবা কেড়ে নিতে জান
আমরা তো সব নাখাভুখা কেমনে বাঁচাই প্রাণ।


ভ্যাকসিন ও নাই ওষুধও নাই কেমন করে বাঁচি
জায়গাতো নাই হাসপাতালে ফ্লোরে তাই আছি।
সীমাবদ্ধতার মাঝে আমরা চেষ্টা করি খুব
সামর্থ্য নাই মোকাবেলার মারি শেষে ডুব।


এমনি করে মারবে কি হায় নাই কি তোমার মায়া
তোমার এ্যাটাক ছাড়িয়ে গেছে মারনাস্ত্রের ছায়া।
চলছিলো খুব ভালো করে বিশ্বের সকল কিছু
কেনো বাবা হঠাৎ করে লাগলে সবার পিছু।


চাকরি বাকরী ব্যবসাসহ ছেলেমেয়ের পড়া
রাখছো তুমি শিকেয় তুলে কেমনে বাঁচবো মোরা।
এতো শক্তি গায়ে তোমার যায় না তোমায় দেখা
কামান গোলা যায়না ভয়ে তোমার সামনে একা।


কোথায় পেলে শক্তি সাহস কোথায় তোমার বল্
শক্তি যদি এতোই তোমার করো কেনো ছল্।
জীবজন্তু মানবজাতির মতো যদি হও
সাহস করে সামনে এসে দাঁড়ায় কথা কও।


চুপিচুপি মেরোনা আর ক্ষমতা তোমার বেশি
তোমার জন্য মরছে মানুষ মরছে রাশি রাশি।
ছেলেমেয়ে স্ত্রী বলো কেউ ধরে না লাশ
এরি মাঝে কেমনে করি দাফন অভিলাষ।


ক্রেন দিয়ে কবরে আজ লাশ নামাতে হয়
অসহায় আজ মানবতা কাঁদে বিশ্বময়।
করোনা তুমি করো ক্ষমা দেড় বছর তো কষলে
এবার না হয় একটু থামো একটু না হয় বসলে।