ঈদের দিনে সকাল বেলা ছেলের জন্য আমি
ব্যস্ত হয়ে পড়তাম ভীষণ দ্যাখতো চেয়ে স্বামী।
গোসল সেরে পাঞ্জাবিটা পরিয়ে দিতাম গায়
লাগিয়ে দিতাম সুগন্ধিটা ছেলের জামা টায়।


ঈদগাহেতে পাঠিয়ে দিতাম নামাজ পড়ার জন্য
ফিরে এলে ছেলে আমার হতাম আমি ধন্য।
পকেট ভ'রে দিতাম টাকা মুখে দিতাম মিষ্টি 
সুখ আনন্দে হারিয়ে যেতাম সুখেই দিতাম দিষ্টি।


পেটটা আমার অনেক বড়ো খাই যে অনেক বেশী
তাইতো আশ্রম ডেকে নিলো আমায় ভালোবাসি
আশ্রমে আছি আমি ঈদ যে আমার নাই
ছেলে ছাড়া ঈদ আনন্দ কেমনে আমি পাই?


আশ্রমে থাকি একা চোখে ঝরে জল
চোখেও আবার দেখি নারে দেখিযে ভূতল।
ছেলে আমার অনেক বড়ো গুলশানে তার বাসা
ছেলে আমার মুক হয়েছে মুখে তে নাই ভাষা।


থাকুক তারা মিলেমিশে থাকুক তারা সুখে
অধম মায়ের খোঁজ নেবে সে কিসে এমন দুখে?
নিক বা না নিক খোঁজটা আমার দুঃখ কিছুই নাই
আমার ছেলের সুখের নীড়ের খবর য্যানো পাই।


ঈদের দিনে একলা থাকি একলা আমি খাই
কেউ আসেনা দেখতে আমায় কোথায় বলো যাই?
চাইনা আমার ছেলের জন্য আমার মতো দিন
আসুক তারই ঈদের দিনে থাকুক যতো ঋণ।


আশ্রমে থাকি আমি দুঃখ আমার নাই
দূরে থেকেও ছেলের সুখের খবর য্যানো পাই।
ছেলে আমার সুখেই থাকুক সুখের তরী বেয়ে
ভুলেও য্যানো আসে না সে আমার খবর পেয়ে।