গাছের ডালে বসে পাখি ভাবছে ভোরের বেলা
করবে শুরু কেমন করে আজকে দিনের খেলা।
নিষ্পলকে তাকিয়ে পাখি একা আপন মনে
করবে কি আজ সারাদিনে তরঙ্গ যায় খেলে।


এমন সময় পাখিনী তার কোমল হাতে করে
দিলো তারে এক কাপ চা ভালোবাসায় ভরে।
পাখি এবার বেজায় খুশি পাখিনী তার পাশে
চা-এর সাথে করছে গল্প মন ভোলানো রসে।


রাখো তোমার ভালোবাসা রাখো তোমার আদর
বাচ্চাগুলো পড়ছে না আর হচ্ছে সবাই বাঁদর।
মরাডালে বসে এখন খাচ্ছো তুমি চা
কেমন আছে বাচ্চাগুলো কেমন তোমার ছা।


সংসারে নেই মন তোমার ইচ্ছে মতো চলো
করো তোমার রাজনীতি যা খুশী তাই করো।
বাজার সদাই আছে কিনা একটু ও কি ভাবো?
চাল ফুরালো ডাল ফুরালো বলো কি আজ খাবো?


ঘরের চালে নেই যে নাড়া বৃষ্টি তে যাই ভিজে
বৃষ্টি এলে যাও হারিয়ে পাইনা তোমায় খুঁজে।
কতোদিন না বলছি আমি ঘরখানা ঠিক করো
যায়না কথা কানে তোমার যা খুশী তাই করো।


রোদ বৃষ্টি ঝড়ে যেথায় কষ্টের নাহি শেষ
তুমি থাকো ক্লাবে আর থাকো সেথায় বেশ।
কতোদিন না বলছি তোমায় রাজনীতি টা ছাড়ো
যতোই বলি আমি তোমার জেদ বেড়ে যায় আরও।


মামলা যখন খাবে তুমি বুঝবে তখন সব
তখন তুমি সব হারাবে করবে জেলে রব।
গরীব মারো রাজনীতিতে নেই কি কোনো লাজ
একটু ও কি টলেনা মন নিত্য করো সাজ।


গাড়ী করো বাড়ি করো টাকার তোমার পাহাড়
এদিক সেদিক গরীব দুঃখী পায়না খুঁজে আহার।
পরের টাকায় পোদ্দারি আর চলবে কতো কাল
খাও না খেটে নিজে একটু দেখবো তোমার হাল।


সন্ত্রাসী সব কার্যকলাপ এখনি দাও ছেড়ে
আর বেড়োনা ঢের হয়েছে অনেক গেছো বেড়ে।
এভাবে কেউ হয়না সুখী একটু ভেবে দেখো
আকাশে ঐ তারার মেলা ফুলের সৌরভ মাখো।


ছেলে-মেয়ের জন্য না হয় একটু ভালো হও
সমাজপতি অধিপতি এবার ভুলে যাও।
সরল জীবন নাও বেছে নাও এবার থাকো ঘরে
কারো জীবন আর নিওনা তোমার হাতে কেড়ে।