তোমরা যদি ভাবো সবাই
       স্বাধীনতার ফুল
ফুটেছিলো এমনি করে
          করবে সবাই ভুল।


ডিসেম্বরের ষোলো তারিখ
    একাত্তরের কথা
জানে সবাই বিশ্ববাসী
    বিজয় মাল্য গাথা।


ছেলের জন্য মায়ের দোয়া
      যুদ্ধে যাবার জন্য
ছিলো মায়ের হৃদয় জুড়ে
      দেশমাতৃকার জন্য।


স্ত্রীর দোয়া স্বামীর জন্য
       ভাইয়ের জন্য বোনের
দোয়া ছিলো সবার তরে
       মুক্তি সেনা গণের।


ন' মাস ধরে চললো যুদ্ধ
       পাক বাহিনীর সাথে
অবশেষে হারলো পাকী
       লজ্জা কিবা তাতে!


লড়ছে সবাই দেশের তরে
        খাবার নাহি পেটে
যুদ্ধে জয়ী হ'তে হবে
        জীবন দেবো তাতে।


বড়ো বড়ো অস্ত্র তাদের
        নাই আমাদের কিছু
মূলমন্ত্র মনোবল তাই
        হটলো তারা পিছু।


বনের কাটা লতাপাতা
        পোকামাকড় সাপ
মুক্তি সেনার কাছে আহা
        তুচ্ছ ছিলো সব।


অকৃত্রিম বন্ধু ভারত
       তুলনা যার নাই
ইন্দিরা গান্ধীর মহিমা যে
       ভোলার উপায় নাই।


খাবার দিয়ে অস্ত্র দিয়ে
         ট্রেনিং দিয়ে বললো
এবার দেশকে তোমরা গিয়ে
         শত্রু মুক্ত করো।


দেশ বিদেশে ঘুরে ফিরে
          বাংলাদেশের জন্য
শ্রম দিয়ে ইন্দিরা গান্ধী
          দেশকে করলো ধন্য।


ইন্দিরা গান্ধীর ভালোবাসা
          ভোলার মতো নয়
ইতিহাসের সকল পাতা
          সাক্ষ্য দিয়ে যায়।


পাকি প্রধান নিয়াজী এসে
        জেঃ অড়োড়ার কাছে
আত্মসমর্পন করলো শেষে
        বীর বাঙ্গালীর কাছে।


ধরা দিলো বিজয় শেষে
         বীর বাঙালীর কাছে
ইজ্জত দিলো মা বোনেরা
         জীবন দিলো সাথে।


শহীদদেরই রক্ত রেখায়
          পেলাম স্বাধীনতা
দূর ক'রে সব পাক বাহিনী
          সকল পরাধীনতা।


শহীদ ছেলের মায়ের মুখে
         ফুটলো শেষে হাসি
বীর বাঙ্গালী মুক্তিসেনা
        দেশকে ভালোবাসি।


লাল সবুজের পতাকা পেলাম
        পেলাম সোনার দেশ
রক্তে লেখা সংবিধান ও
        পেলাম অবশেষ ।