বাপ-মা অনেক কষ্ট ক'রে ছেলেমেয়ে মানুষ করে
কিন্তু তাদের যাবার সময় থাকে না কেউ তাদের তরে।
বড়ো বড়ো বিদ্যাপিঠে পড়তে হবে বড়ো হতে
এই মন্ত্রে দীক্ষা পেয়ে স্কুলে যায় উৎসাহেতে।
নম্বর তোমায় পেতে হবে সবার চেয়ে অনেক বেশী
প্রথম তোমায় হতেই হবে রাখতে হবে এগিয়ে পেশী।
তা না হলে বাঁচবে না মান হাসবে তখন প্রতিবেশী
কেমন করে বাঁচবো তখন করবে রক্ষা কোন্ উদাসী।


একটু বাবা ধৈর্য ধরে পড়্ না একটু ভালো করে
পড়াশোনা শেষ হলে পর কাটবে ভালো জীবন ভরে।
এমনি করে ছেলের ওপর চাপিয়ে দেই হাজার বোঝা
বোঝা নয়তো মোদ্দা কথা সত্যি তাকে রাখা সোজা।
ছেলেমেয়ে এমনি করে থাকে সবাই দৌড়ের পরে
দৌড়ে দৌড়ে ক্লান্ত হয়ে শেষে তারা ঝিমিয়ে পড়ে।
এরপরে এক চাকরি নিয়ে দেশ বিদেশে কেটে পড়ে
বাবা-মায়ের নেয় না খবর শেষে তারা ঘরেই মরে।


টাকা কড়ি দালান কোঠা গাড়ি বাড়ি করে তারা
সারাজীবন ব্যস্ত ভীষণ ব্যস্ততার এক দারুণ ঘোড়া ।
বিজ্ঞানী ঐ ছেলের চেয়ে অশিক্ষিত মূর্খ  ছেলে
সেযে অনেক বড়ো আহা কাজের সময় তাকে মেলে।
এমন ছেলে নাই যে দরকার যে চলে যায় বাপ-মা ফেলে
এমন ছেলে অনেক ভালো থাকবে তোমার হাতটা ধরে।
হয়তো মূ্র্খ ছেলের হাতে আসবে না গো সোনার থালা
তবুও তোমার পাশে থেকে পরিয়ে দেবে বিদায় মালা।


তার হাতে আর নাসা হয়তো কাঁপবে না গো কোনো কালে
নাম শোনবে না হার্ভার্ডের ও থাকবে তোমার হাল আমলে।
প্রিয় সকল বাপ-মায়েরা এবার একটু চিন্তা করুন
দৌড়ে দৌড়ে ক্লান্ত সন্তান তাদের এবার থামতে বলুন।
ক্যারিয়ার নয় টাকা পয়সা ভালোবাসা শেখান তাদের
দেখবেন ছুঁয়ে ছেলেমেয়ে সেটা হবে সুখ আনন্দের।
একটা সময় বাপ-মা ঠিকই চায়যে তাহার ছেলের সাথে
এক বিকেলে চা খাবে আর শান্তি পাবে অনেক তাতে।


বাপ-মা চায় ভালোবাসা সন্তান তাহার থাকুক পাশে
ঘোড়া সন্তান রোবট সন্তান ঘেঁষে না তার আশেপাশে।
ক্যারিয়ারের অঙ্ক বাবা শিখিয়েছিলো সমান তালে
যখন তারা ছোট্ট ছিলো ফেলে তাদের ধুৃ্ম্রজালে।
শিখায়নি সে ভালোবাসা দয়ামায়া কয় কাহারে
কথাবার্তা বললে এখন দুর্বোদ্ধ কয় সব তাহারে।
ক্যারিয়ার আর টাকা পয়সা ছেলের আজি সব হয়েছে
এরি মাঝে ভালোবাসা লজ্জা পেয়ে ডুব মেরেছে। 


সারাজীবন ছেলেটা কে দৌড়ের ওপর খুব রেখেছে
বলতো বাবা জিততে হবে সকল রকম রেসে তোকে।
বাপ-মার এখন বয়স হয়েছে চায় যে ছেলে থাকুক কাছে
ফিরুক তাহার ঘরে আবার সারাজীবন থাকুক কাছে।
মুখ উজ্জ্বল আর জিতে যাওয়ার খেলা যখন শেষ হয়েছে
বাজির ঘোড়া ছেলে এখন বাপ-মাদের আজ ভুলে গেছে।
রোবট ঘোড়া নাইবা করে ছেলেমেয়ে মানুষ করুন
ভালোবাসা কয় কাহারে শিক্ষা দানে আদেশ করুন।


রেহমান তারেক একলা ঘরে মরলো দেখুন কেমন করে?
বৌ ছেলে সব আমেরিকায় শিক্ষা দীক্ষা কয় কাহারে।
সবাই আজকে থাকতে তাহার থাকলো না কেউ মরার সময়
দেখ্ না চেয়ে বিশ্ববাসী সকল বাবা আজকে কমায়।


থাকতে সময় সাবধান হলে মরবেনা কেউ এমনি করে
যেমনি গেলেন রেহমান তারেক নিঃসঙ্গতার অন্ধকারে।


বিঃদ্রঃ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের
শ্রদ্ধেয় অধ্যাপক জনাব তারেক শামসুর
রেহমান সম্প্রতি গতায়ু হয়েছেন। তার
রেফারেন্সটা এখানে তুলে ধরা হয়েছে।
কাব্যিকতার স্বার্থে তার পুরো নামটি
ব্যবহার করা যায় নি।