একটু কথা বলার জন্য প্রিয়ার ছিলো  দাবী
ইচ্ছে তাহার করতে পূরণ করতো প্রেমিক সবি
ফোন ছিলো না সেল ছিলো না ছিলো না তো কিছু
কষ্টে ভরা জীবন আহা থাকতো লেগে পিছু ।


কয়েনবক্সই ছিলো শুধু যোগাযোগের আকাশ
থাকতো ঝুলে হলে হলে ভার্সিটিতে সকাশ
রেলস্টেশন হাসপাতাল আর পোস্টাফিসে যতো
ইচ্ছেমতো প্রেমিক সবাই জায়গা করে নিতো।


দলে দলে আগে পিছে লাইনে থেকে সবাই
হলে বসে প্রিয়া তখন করতো সদা জবাই
রাখতে প্রেমিক চারআনার সব ব্যঘ্র ছবির সিকি
নইলে প্রিয়া কয়েন বক্সে মারতো না যে উঁকি ।


প্রেমিক সকল দাঁড়িয়ে আহা আছে আগে পিছে
শেষ হয়না কথা তাহার কয়েন যে খায় মিছে
জ্বালার জ্বালা বড়ো জ্বালা সইতে নারে পারে
কথা বলতে না পারলে মারবে প্রিয়া ঝেড়ে।


হলে হলে ঘুরতো প্রেমিক নির্জনতার জন্য
নির্জনতায় কথা বলে শান্তি পাবার জন্য
পেছন থেকে লাইনের সব বলতো ডেকে ভাই
অনেকক্ষণ তো হোলো এবার আমরা সুযোগ চাই।


প্রিয়া আহা চায়না ছাড়তে কয়েন ও হয় শেষ
পিঠের ওপর পড়ছে থাবা পেছন থেকে বেশ
আশির দশক নব্বই মিলে কয়েনবক্সই যথা
কয়েনবক্সেই বলতো প্রেমিক প্রেম প্রীতির কথা ।


মান অভিমান প্রিয়ার কাছে শুনতো প্রেমিক কতো
পারে না যে কিচ্ছু প্রেমিক শুনতো সে যে শতো
একটা মাত্র কয়েনবক্সে লাইনে ত্রিশ জন
চায়না বুঝতে প্রেমিকা তার বকে সারাক্ষণ ।


শুনতে চায় না প্রেমিকা হায় প্রেমিকের কোনো কথা
বকা দিয়ে তাহার মনে দিতো শতেক ব্যথা
এমনি করে দিন কাটে আর রাত্রি শেষে ভোর
দিন কাটে না প্রিয়ার থাকে রাতের অধিক ঘোর ।


কয়েনবক্সের দুঃখের কথা হয়েছে আজ শেষ
মোবাইল আর স্মার্ট ফোনে আছে সবাই বেশ
সারা রাত্রি কথা বলে শান্তি পাবার আশে
ঘুম হারা চোখ দিনের বেলা খিলখিলিয়ে হাসে।


মুঠোফোনে প্রেম চলে আজ আরামের নাই শেষ
দিবানিশি প্রেম ক'রে যায় প্রেমিক প্রিয়া বেশ।
একটু কথা বলার জন্য সেসব দিনের কষ্ট
আজো কাঁদে প্রেমিক আহা প্রিয়া যে নয় তুষ্ট।