তোমার মুখচ্ছবি আঁকবো ব'লে
সেই কবে থেকে অপেক্ষা করে আছি আমি
তাই কিছু শব্দ ধার চেয়েছিলাম
পৃথিবীর সব অভিধানের কাছে
অভিধান বললো-
পৃথিবীর সব কবি আমার সাদা পাতা ওল্টাতে ওল্টাতে
লালচে-সোনালি, ধূসর-লাল, ধুসর-হলুদ করে ফেলেছে
এক সময় তার ধবধবে যৌবন ছিলো
গায়ের রং সাদা ছিলো শব্দগুুলো কালো ছিলো
তখন সে পৃথিবীর এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত পর্যন্ত
দেখতে পেতো চোখে
এখন সে একজন অন্ধ বৈ কিছু নয়
কিছুই দেখে না আজ তার চোখে
তাই তার শরীরের ধুসর পাতায় লিপিবদ্ধ শব্দ গুলো
বড়ো বেশী আড়মোড়া ব'লে মনে হয়
বড্ড বেশি ধুসর ব'লে মনে হয়  তার কাছে
কি কি শব্দ লেখা আছে তার গায়ে
এখন আর দেখতে পায়না সে


আবারও কিছু শব্দ ধার চাইলাম অভিধানের কাছে
সে বললো
তার শব্দ সম্ভার এখন কিনে নিয়েছে পৃথিবীর সব কবি
ফুরিয়ে গেছে তার শব্দের ভান্ডার
দেবার মতো আজ তার নেই কোনো শব্দ


তারপর আমি নিজেই ঘাটতে শুরু করলাম
পৃথিবীর সমগ্র অভিধান খুঁজেও পেলাম না একটা শব্দ


তোমার মুখচ্ছবি আঁকবো ব'লে পৃথিবীর সব অভিধান
ঘাঁটতে ঘাঁটতে বড্ড ক্লান্ত পাঠক আমি আজ
তাই আর আঁকা হলো না কাঙ্খিত মুখচ্ছবি তোমার
শব্দের কাঙ্গাল হ'য়ে বিরস বদনে তাকিয়ে রইলাম শুধু
একটি শব্দের জন্য তাকিয়ে রইলাম শুধু অভিধানের পাতায়