টিএসসি আমায় বারেবারে টানে তাহার দ্বারে
টানলেও কি আর যখন তখন আসতে পারি ওরে ?
আমি আছি অনেক দূরে সাত সমুদ্দুর পার
সাগর পাড়ি দিয়ে আসার সাধ্য কোথায় আর।


মন কাঁদে আর হৃদয় কাঁদে,কাঁদে আমার আঁখি
টিএসসি আজ ভুলে তোমায় কেমন করে থাকি?
মনে পড়ে তোমার সাথে দিনে কয়েক বার
দেখা করতাম আড্ডা মারতাম ঘুরতাম কতো বার।


বন্ধুরা সব আসতাম ছুটে ক্লাস হলে শেষ
চটপটি আর ফুসকার সাথে আড্ডা হতো বেশ।
ফুসকা খাওয়ার দৃশ্য দেখে মেয়েরা সব হেঁসে
পড়তো ঢ'লে গায়ের পরে আহ্লাদে যায় ভেসে।


অকারণে হেঁসে তারা হতো কুটিকুটি
চোখের পরে চোখ পড়িলে খেতো লুটোপুটি।
পাঁচ টাকায় লাঞ্চের বেলা পোলাও মুরগী খেয়ে
চলতো আড্ডা টিএসসিতে সন্ধ্যা আসতো নেমে।


হরেক রকম গল্প হতো গল্পের নাহি শেষ
এমন সময় বলতো বাবু চল্ হয়েছে বেশ।
টিএসসিতে এমনি করে চলতো আসা যাওয়া
যাবার সময় 'ডাচে' আবার হতো খাওয়া দাওয়া। 


লাইব্রেরী চত্বর ছিলো আনন্দেতে ঘেরা
লুটতো মজা ছেলেমেয়ে হরেক রকম তারা।
পড়াশোনা শেষ হলে সব লাইব্রেরী থেকে
আসতো নেমে দলে দলে ঝরতো হাসি মুখে ।


সবুজ ঘাসের বিছানাতে ছিলো ফরাস পাতা
নিতাম বেছে আসন সবাই হাসতো ঝরাপাতা।
ভালোবাসায় ছিলো ভরা ভার্সিটির এ জীবন
পাবো কি আর ফিরে আবার ফুসকা খাওয়ার ক্ষণ?


ফুসকা খাওয়ার এই মধুক্ষণ আসবে না আর ফিরে
ডাকবেনা আর ফুচকাওয়ালা ডাকবেনা আরকিরে।
স্মৃতি হাতড়ে চলবো আমরা সারাজীবন ধ'রে
ফেলে আসা দিনগুলো সব কাঁদবে বিষাদ ভ'রে।


সুন্দরী এক মেয়ের সাথে ছিলো বাবুর প্রেম
শিক্ষা শেষে পালিয়ে বাবু ঢাকলো তাহার শেম।
ভার্সিটির ঐ সেই মধু ক্ষণ আসবে কি আর ফিরে?
আসবে নারে কাঁদবে হৃদয় কাঁদবে আকাশ ঘিরে।


কেউ যদি ফের প্রশ্ন ছুড়ে দেয় কি আমি চাই
বলবো আমার ঢাবি যেনো আবার ফিরে পাই।
ছাত্র হয়ে ঢাবির আমি পড়বো চিরকাল
থাকবো সেথায় জনম ভরে থাকবো মহাকাল।


মারবো আড্ডা টিএসসিতে বন্ধুরা সব মিলে
টের পাবো না নামবে সন্ধা সময় যাবে চলে।
এমনি করে কাটবে আমার সকাল সন্ধ্যা বেলা
থাকবো সুখে মহাসুখে থাকলে সঙ্গে নীলা।