হাজার বছর ধরে
আমি এই পৃথিবীর পরে
এই বাংলার বুকে
নিভৃত পল্লীর,কোনো এক গ্রামের
জীর্ণ শীর্ণ ছোনের এক
কুঁড়ে ঘরে
কাটিয়েছি তোমাদের ঘিরে


চারিদিকে বিএমডব্লিউ গাড়ির হর্ণ
কান ঝালাপালা করা শব্দে
দিগ্বিদিক জ্ঞান হারায় মানুষ 
ইটের ভাটার চিমনির কালো ধোঁয়ায়
ঢেকে গেছে, ছেয়ে গেছে,সুনীল আকাশ
দুষিত,বিষাক্ত, বায়ুর হাজারো উল্লাস
সুন্দরী মেঘ বালিকারাও আজ উদ্ভ্রান্ত
সুনির্মল বায়ুর ওপর চলছে সন্ত্রাস 
আকাশের বায়ু আজ বিষাক্ত
আকাশ আজ
বিরক্ত খুবই, এই পৃথিবীর মানুষের পরে
বন উজাড় করে চলেছে দেদারসে
বনখেকো, অসভ্য বনদস্যুরা
ভূমিদস্যুতায় ঝলসে উঠেছে
আমার প্রিয় জন্মভূমি,আমার প্রিয় বাংলা
গিলে খাচ্ছে, বিশাল অজগরের মতো
নদী-নালা, খাল-বিল সব
একাকার করে নিচ্ছে,তার সাথে
ঘরবাড়ি সব
সভ্যতা আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে
কোথায়? বাংলার মানুষ আজ,ঘুমিয়েছে সব?


অন্ধকারে,ঢেকে গেছে পৃথিবী
ঢেকে গেছে, আমার প্রিয় বাংলার মুখ
চারিদিকে বিষন্নতা আর হতাশার মৌনতা
বিবর্ণ করেছে,আমার প্রিয় সবুজ ঘাসের দেশ
প্রিয় বাংলাকে আমার


একমুঠো অন্ধকার
কবরের ঘোর অন্ধকারের মতো
এক গ্লাস অন্ধকারে
ঢেকে গেছে, আমার প্রিয় বাংলার
সবুজ ধানের ক্ষেত
থেমে গেছে,কৃষাণীর চাল থেকে, কুড়ো
ছাটার টুপটুপ শব্দ
থেমে গেছে, প্রিয় কবিদের প্রেমিকার জন্য
প্রেম বিরহের লেখা সব কাব্য
থেমে গেছে, লেখা এ পৃথিবীর সব কবিতা


থাকতে চাই না,এ পৃথিবীর জীবনে
আমি আর
যেতে দাও,পৃথিবী, আমাকে এবার
যেতে দাও, এ পৃথিবীর সব ধুলো-মাটি
কাদা,ছেনে ছেনে
থাকবো না আমি আর
এ পৃথিবীর জীবনে
এটুকু রাখো সবাই জেনে
একমুঠ হতাশা আর
এক গ্লাস অন্ধকার নিয়ে
হতাশার বুকে ভেসে ভেসে
আমি তোমাদের ছেড়ে
চলে যাবো কোনো এক
অজানাদের ভীড়ে