গানের পাখি উড়ে গেছে আসবে না আর ফিরে
সাত সমুদ্দুর তেরনদী সেতো অনেক দূরে।
আমার কন্ঠে গায়না রে গান মিষ্টি গানের সুর
সে সুর কেনো থামিয়ে দিয়ে আজকে অচীন পুর।


গোল্ড রিং পরলে কানে লাগতো তোমায় ফুল
মনে হতো রিংগুলো সব তাজা গোলাপ ফুল।
মিষ্টি মাখা মুখখানি আজ যায়না খুঁজে  দেখা
তোমার আমার হবেনা রে এটাই ছিলো লেখা।


সান্ধ্যপ্রদীপ নিভে গেছে জ্বলবে না আর ঘরে
টিপ টিপিয়ে জ্বলবে পিদিম তোমার কুটির দ্বারে।
জীবন তুমি কঠিন কেনো আমায় ক'রে দূর
কেনো তুমি রাখলে বলো সপ্ত সাগর পুর।


হা হুতাশের এমন জীবন কুয়াশাতে ঘেরা
এমন জীবন চায়না রে কেউ তবুও ক্যান্ ধরা।
কিছুই করার নাইরে আজি দুঃখ ভোগের নাও
সুখমনে তাই গাওরে সবাই যেটুক সুযোগ পাও।


হালকা পাতলা গড়ণ আহা মুচকি মুচকি হাসি
ঠোঁটের কোনায় থাকতো সেঁজে দিগন্তের ঐ বাঁশি।
যতোই দূরে থাকো না ক্যান্ ওগো আমার শশী
দূরে বসে আজও তোমায় নিত্য ভালোবাসি।


ঘাস ছিড়তে পাতা ছিড়তে ছিড়তে মনের ক্ষেদ
মাঝে মাঝে বায়না ধরে করতে ভারী জেদ
গানের পাখি বুলবুলি আজ সপ্তসাগর পারে
গ্যাসের চুলায় রান্না তুলে যমুনায় ডুব মারে।


কষ্ট আছে জীবনে তার আমি ছাড়া কেউ
বুঝবে নারে আহাজারি তার যমুনার ঢেউ
এমন করে ক্যান বিধাতা দাওগো মোদের শাস্তি
একটু না হয় মন খুলে দাও দাও গো মোদোর স্বস্তি।


ভালো থেকো যেথায় থাকো এ জীবনে আর
মিলবো না যে তুমি আমি সপ্ত পারা পার।
ভুলতে আমি পারি না তোমায় ভুলবো কেমন করে
মনের খেয়া টানে আমায় টানে দাড়ের জোরে।


এ জীবনে মিটলো না সাধ আবার সুযোগ পেলে
দেখবো কোথায় ডাকে পাখি ময়ুর পেখম মেলে।
হাজার বছর ধরে প্রেমিক কাঁদছে চোখের জলে
কাঁদতে কাঁদতে ঘা হলো তার এই ছিলো ভালে?


প্রকাশস্থানঃ
বাংলো
জেলা ও দায়রা জজ
সুনামগঞ্জ।


প্রকাশকালঃ    
সময-০১-৩৮ মিনিট
তারিখঃ
বাংলা-২ ফাল্গুন ১৪২৭
ইংরেজি-১৫-০২-২০২১