আমাদের ক্যাম্পাস টা ছিলো ভারী মিষ্টি ও মোহনীয়
গাছ-পালা,সবুজ বন-বনানি আর পাখীর কিচির-মিচির শব্দ
পরিবেশটা কে আরো মনোমুগ্ধকর করে তুলতো
তোমার সম্পূর্ন চলটাই ছিলো আমার জন্য,ছিলো শুধুই আমার
জন্যে
শাড়ী পরে আমার পাশ দিয়ে ধীর লয়ে তোমার হেটে যাওয়াটা
ছিলো ছন্দময়, আরো মিষ্টি, আরো মধুর, ছিলো পৃথিবীর সবচয়ে
সুন্দর এই হেটে যাওয়া
এই সুন্দর অবলোকনে আমি নিজেকে উজাড় করে দিতাম
নিঃশেষ করে দিতাম একেবারে        


সুগন্ধি মেখে ধীরলয়ে চুল ছেড়ে তোমার চলে যাওয়া
আমাকে তুমুল পাগল করে তুলতো, আমি অভিভূত ও মুগ্ধ
হয়ে দেখতাম তোমাকে,শুধু তোমাকে
তুমি বাতাস কে বলতে হে বাতাস তুমি আমার এ চলে যাওয়া
শরীরের তাজা গন্ধ,সুগন্ধির সজীব ঘ্রাণ,আমার প্রিয়র শরীরে
বিলিয়ে দাও,তাকে উন্মাদ করে তোলো আমার জন্য,শুধু আমার
জন্য  
তুমি না বললেও কিন্তু তোমার গায়ের সুগন্ধি ঠিকই আমাকে
বলতো
আমাকে পাগল করে তুলতো একেবারে ঝোড়ো হাওয়ার মতো  
দিবা-নিশি সব সময় তুমিই ছিলে আমার ভাবনা,আমার
গবেষণা
  
লেখাপড়া একদম ভালো লাগতো না,তুমিই ছিলে আমার
একমাত্র চর্চা,একমাত্র সাধনা,তুমি-ই ছিলে আমার অনুপ্রেরণা
তুমি আর আমি ছিলাম বন্ধুদের আলাপের বিষয়, কতো হাসি
কতো আনন্দ, তোমাকে আমাকে নিয়ে করতো তারা
সব সময় আমরা পাশাপাশি সীটে বসতাম,কবিতা লিখতাম
একসাথে চায়ের টেবিলে, লাঞ্চে ও ডিনারে বসতাম, এক
টেবিলে না বসলে আমাদের খাওয়াই হতো না


এক মূহূর্ত না দেখলে আমি পাগল হয়ে যেতাম, দুটি চোখ
দুটি হৃদয়,একটি চোখ ও একটি হৃদয়ে পরিনত হয়েছিলো  
তুমি আমাকে সবই দিয়েছিলে, কি দাওনি তুমি আমায়!
তোমার সুবিন্যাস্ত দীর্ঘাঙ্গী চুল, তোমার পথচলা,তোমার
হেটে যাওয়া
গভীর নেত্রে এক দৃষ্টিতে আমার দিকে তোমার সলাজ দৃষ্টিতে
তাকিয়ে থাকা


তোমার পরিপাটি থাকা,তোমার পোশাক, সুগন্ধি, তোমার
ব্যক্তিত্ব,তোমার মেধা, ক্রীড়াক্ষেত্রে সব প্রাইজগুলো তোমার
কব্জায় নিয়ে নেয়া
সবই আমাকে নাড়া দিয়ে যেতো,আমাকে মুগ্ধ করতো,পাগল
হয়ে যেতাম আমি    
তুমি আমাকে উজাড় করে দিয়েছিলে তোমার সব কিছু, যা
ছিলো তোমার, তার সবটাই দিয়েছিলে আমায়, কিছু-ই ছিলো
না অবশেষ
তার তো সবই আমায় দিলে,দিতে দিতে তুমি ও অস্থির হলে
পাগল হলে শুধু ভালোবাসি কথাটা শোনার জন্যে


আমিও বনের পাখীদের সাথে অনেক সন্ধি করলাম,আলাপ করলাম
কথা বললাম,শেষ পর্যন্ত তোমার বন্ধুর স্মরণ নিলাম, আমিও
সবই করলাম    
শুধু যেটুকু পারিনি,পারিনি শুধু মুখফুটে বলতে, তোমাকে ছুঁতে
আমি তোমাকে ভালোবাসি, অনেক বেশী ভালোবাসি, বুঝলেনা তুমি
কাপুরুষের মতো করেছি কাজ আমি,নিছক একজন কাপুরুষ আমি
তুমি আমাকে ঘৃনা করো,ঘৃনা করো,তুমি আমাকে, তোমার অন্তর
থেকে, অন্তরের অন্তস্থল হতে, হৃদয়ের গভীরতম স্থান থেকে
শুধু একবার বলো, ঘৃনা করি তোমাকে
থু, ধিক তোমাকে, হে কাপুরুষ!