নাম ছিলো তার গোবিন্দ এক হাবা গোবা ছেলে
সুযোগ পেলেই গোবিন্দকে খেলতো সবাই মিলে।
আসলে খুব হাবাগোবা বলতো না যে কথা
জানিনা কোন গ্রাম ললনা দিয়েছিলো ব্যাথা।


দিলে-ও সেটা ভালো ই হতো একটা কামের কাম
করতে পারুক নাইবা আহা ঝরতো জলের ঘাম।
একদিনের এক ঘটনা বলি প্রাইমারী তে পড়ি
ছুটি হলে দৌড়াদৌড়ি ছুটেই সবাই মরি।


বেল বাজানোর সাথে সাথে যে যার মতো বাড়ি
বই খাতা আর পেন্সিল নিয়ে যেতাম তাড়াতাড়ি।
ছাত্র টিচার মিলে কিছু ক্লাস রুমে সব বসে
উঠতাম মেতে গল্পে সবাই আয়েশ করে শেষে।


সবাই প্রায় গেলো চলে কয়েকজনের সাথে
দাড়িয়ে ছিলাম আমিও সেথায় বাড়ী যাবার রথে।
ঠাঁই দাড়িয়ে গোবিন্দ আর নড়ে না যে ব্যাটা
ডাক দিয়ে কয় শিক্ষক ব্যাটা বাধিয়েছে ল্যাঠা।


ডাক দিয়ে কয় টিচার আমায় একটু কাছে যাও
ধারে গিয়ে দেখো আহা বিশেষ কিছু পাও।
নড়ে না আর গোবিন্দ রে ভদ্রলোকের মতো
থাকলো ব্যাটা ঠাঁই দাড়িয়ে গন্ধ শতো শতো।


প্যান্টের মধ্যে কাম সেরেছে এখন কিছু আর
পড়বে না আর ঝরে আহা এটুকু জোর তার।
মনের জোরে দাঁড়িয়ে আছে নড়াচড়া নাই
খুঁজছিলো সে সুযোগ আহা ক্যামনে বাড়ি যাই।


কি হয়েছে বলে না সে মুখটি যে তার বন্ধ
চাদ্দিকে সব ছুটছে আহা আতর মাখা গন্ধ।
কাছাকাছি গিয়ে দেখি কাম দিয়েছে সেরে
বলিস কিরে গোবিন্দ কি ঠিকই দিলো মেরে।


তাড়াতাড়ি চল্ ভেগে চল্ আর না দেরী করে
নিরিখ ধরে গোবিন্দ যে আরও দেবে ছেড়ে।
সবার শেষে স্কুল যখন হয়ে গেলো ফাঁকা
দৌড়ে ব্যাটা জান বাঁচালো আর গেলো না দেখা।


দিন চলে যায় মাস চলে যায় গোবিন্দর নাই খোঁজ
খুঁজতে থাকি গোবিন্দ রে খুঁজি যে হররোজ।
আসে না আর স্কুলে সে অনেক বড়ো লজ্জা
লজ্জা ঢাকায় পালিয়ে বেড়ায় পালালে যায় লজ্জা?


একদিন সবাই তার বাড়িতে দিলাম যবে হামলা
গালভরা এক হাসি মায়ের আনলো খাবার গামলা।
কানটি ধরে বললাম ওরে কাম করিস কি একা
সবাই করে গোপনে কাম যায় কি সেটা দেখা।


কাম করেছিস ভালো কথা স্কুলে যাই চল্
দূর্বলতা থাকলে মনে আসবে না আর বল্।
ধরা খাওয়ার দিন থেকে তার গোবিন্দ যে নাম
পাল্টে সোজা হলো শেষে হাগা গোবিন্দ ধাম।


এখনো সে আছে বেঁচে আশি বছরের বুড়ো
দেখলে আহা লাজ শরমে কয় যে কেশে খুঁড়ো।
মজার গল্প মেয়েদের কাছে ধরলাম একদিন তুলে
বললো বাবা দেখবো তাকে দেখবো যে চোখ খুলে।


বছর শেষে বাড়ির পথে ঘুরলো গাড়ির চাকা
বললো আমার মামনিরা চলো না যাক দেখা।
গামছা মাথায় কাছা দেয়া পাক্কা বুড়ো ব্যাটা
আসলো ছুটে মাঠের থেকে বাঁধলো শেষে ল্যাঠা।


মেয়েরা কয় আঙ্কেল তোমার হয়না ক্লাসমেট
আসবো বলে সাজিয়ে তারে করেছো তুমি সেট।
কাজ করে সে মাঠে ব্যাটা চুলগুলো সব সাদা
দেখে তারে মেয়েরা কয় হুলো তোমার দাদা।


বুজলো নারে মেয়েরা আমার ডাই করে দেই চুলে
বুঝতে কেহ পারে না তাই সবাই থাকে ভুলে।
ফ্যামিলি নিয়ে সবার শেষে ছাড়লাম যখন বাড়ি
ছাড়ার সময় বললো এটা হাগা গোবিন্দ'র বাড়ি।


সেদিন থেকে হাগা গোবিন্দ ডাকা হলো শুরু
হাসতো সবাই ডাকতো সবাই হাগা গোবিন্দ গুরু।
দিনের শেষে কালের শেষে পৃথিবীতে হায়
এমন কিছু ঘটে আহা ভুলবার কভু নয়।


প্রকাশস্থানঃ
বাংলো
জেলা ও দায়রা জজ
সুনামগঞ্জ।


প্রকাশকালঃ
সময়-
০০-৫৫মিনিট
ইংরেজী =১৩-০২-২০২১