একই গ্রামের বন্ধু দু'জন এক ক্লাসে পড়ে
স্কুলে যায় একই সাথে একই সাথে ফেরে।
একে অন্যের গলার মালা কাউকে ছাড়া কেউ
পারে না যে থাকতে আহা প্রেমের কতো ঢেউ।


অমিত সুমিত ভালো করে কাটাচ্ছিলো দিন
হঠাৎ করে কেমন যেনো বাজলো দুখের বীণ।
সুমিত হঠাৎ বললো এসে বন্ধু খারাপ মন
বলছি আমি সকল কিছু মন দিয়ে তুই শোন।


কোলকাতাতে যাচ্ছি চ"লে ছেড়ে দেশের বাড়ি
কেমন ক'রে ছাড়বো তোকে হবো দেশান্তরী।
সুমিত গেলো কোলকাতা অমিত বাংলাদেশে
মাঝে মাঝে আসে সুমিত আসে নিজের দেশে।


সুমিত প্রায়ই বলে বন্ধু কোলকাতা মোর বাড়ি
কেমনে আমি থাকি সেথায় বন্ধু তোরে ছাড়ি?
আসবি থাকবি ঘুরবি ফিরবি খাবি আমার বাড়ি
একটু না হয় বেড়িয়ে আবার যাবি দেশে ফিরি।


সুমিত এখন আছে ভালো কোলকাতা তে বেশ
ছেলেমেয়ে স্ত্রী নিয়ে আনন্দের নাই শেষ।
ইলিশ মাছের সঙ্গে অমিত নিলো অনেক খাবার
কাশ্মীরী শাল শার্ট প্যান্ট যা ছিলো তার পাবার।


সুমিত হলো বেজায় খুশি বন্ধুর আগমনে
আনন্দেতে যায় হারিয়ে বন্ধুর আলাপনে।
তিন চারদিন পরে সুমিত বললো অমিত শোন্
তুইযে আমার গলার মালা বন্ধু মহাজন।


সেদিন রাতে বললো সুমিত বন্ধু তোরই জন্য
একটা বড়ো গিফ্ট এনেছি ধন্য তারি জন্য।
খুশীর চোটে এবার অমিত হলো আত্মহারা
কি এনেছে বন্ধু সুমিত দেখার ভারী তাড়া।


সুমিত শেষে বললো অমিত হাতখানা তোর দেখি
চারআনার এক হজমী দিলাম মন থেকে আর কি!
বললো সুমিত স্বাস্থ্যের জন্য কাজ করে খুব ভালো
হজম হবে সকল খাবার জালবে সুখের আলো।


ক'দিন আমার হয়নিরে ঘুম কি দেবো তাই ভেবে
অবশেষে দিলাম হজমী এটাই তুমি নেবে।
হজমী পেয়ে অমিত এবার ঘামলো কিছুক্ষণ
কিছু পরে জাগলো আবার সম্বিৎ শিহরণ।


বেড়ানো আমার শেষ হয়েছে বন্ধুরে তুই শোন্
কষ্ট দিলাম ক'দিন তোরে তুইযে আপনজন
বললো অমিত এবার বিদায় বন্ধু আমি আসি
আসবো আবার দেখতে তোরে হজমী ভালোবাসি।


প্রকাশ কাল-
সময়-০০-০৮ মিনিট
বাংলা # ০৭ চৈত্র ১৪২৭
ইংরেজি # ২১--০৩--২০২১


প্রকাশ স্থান -
বাংলো
জেলা ও দায়রা জজ
সুনামগঞ্জ