সংসার ত্যাগ করে হয়েছেন কবি
এঁকে দাও কবিগন একা তার ছবি
স্ত্রী ছেলেমেয়ের ছিলো নাতো খোঁজ
কবিতায় মেতেছিলো কবি হররোজ।
কবিতাই ছিলো তার একমাত্র ধ্যান
কবিতার গিটারে তাই ধরেছিলো তান
খাবার নেই ঘরেতে সংসারের জ্বালা
ছেড়ে গেলো বৌ তাই ঘরে দিয়ে তালা।
অভাবের সংসারে নাই তার কিছু
কাব্য সাধনায় সে হটে নাই পিছু
মিতালি করেছিলো কবিতার সাথে
সেরা সব কবিতা লিখেছিলো পাতে।
কবিতার খেয়ায় চড়ে গেছে বহুদূরে
ভুলবেনা পৃথিবী কোনোদিন তারে
সাধকের মহাসাধক ছিলো কবি সাব
খ্যাতনামা কবি তিনি ওঠালেন রব।
টিটকারি বোটকেরা শুনে দিনরাত
অশান্তির আগুনে হতো কুপোকাত
কবি বলে ঠাট্টার ছিলো নাতো শেষ
কবিতার চাষে তবু ছিলো তিনি বেশ।
সাহিত্যের দাবানলে পুড়েছেন কবি
হাল তবু ছাড়েননি দিয়ে গেছেন সবি
ছাপাখানায় ঘুরেছেন ছাপানোর জন্য
কটু কথা শুনেছেন হয়েছেন দৈন্য।
অভাবের তাড়নায় চাকরির খোঁজে
ঘুরেছেন দ্বারে দ্বারে কেবা সেটা বোঝে
বাসা ভাড়া দিতে গিয়ে হতো নাজেহাল
মালিকের তিরস্কার খেতো এ কাঙাল।
ইংরেজি সাহিত্যের মেধাবী এ কবি
কবিতার জন্য তিনি ভুলে যান সবি
তার মতো কষ্টের বিদ্রোহী নজরুল
কষ্টেও ছিলো সে কবিতায় মশগুল।
অনার্স আর মাস্টার্স শেষ করে সবি
পুরোপুরি এঁকে দিলেন কবিতার ছবি
ফিরতে চেয়ে কবি ফিরলোনা আর
ট্রামবাস করে দিলো ধরাধাম পার।
অভাবের কবি তিনি জীবনানন্দ দাশ
এ বাংলা ছেড়ে হলেন ও বাংলার লাশ
তার মতো সাধনার কবি আর ফিরে
আসবেনা বাংলার কবিতাকে ঘিরে।