সিট পাওয়া বেশ দূরের কথা থাকাই ছিলো মূল
সিনিয়র জুনিয়র বন্ধু থাকলে পড়েই যেতো ধূম।
এইচএসসি পরীক্ষার পরে ওঠলাম এসএম হলে
থাকার কষ্টে হলেও রুষ্ট থাকলাম সেথায় বলে।


কিছুকাল পর ভালোবাসা বল্ গায়ের জামা খুলি
বললো এখানে থাকবো না চল্ পল্লী কবির বাড়ি।
ঢাবিতে ছিলো কবির নামে কবি জসীমউদ্দিন হল্
খুঁজছিলো মন সুযোগ সদাই বললো এখনই চল্।


সুযোগ পেয়ে দেরী না করে কবিকে ভালোবেসে
ছুটলাম দ্রুত কবির হলে ছুটলাম ক্ষনকাল শেষে।
এলাকার ভাই জামাল তাই বললো থেকো সাথে
কিছুকাল পর একাই থেকো থেকো তোমার মতে।


আপাততঃ তাই থাকলাম দু' ভাই কোনো ই আপদ নাই
ভাগ করে নিলাম মিলেও গেলাম কবির হলে তাই
মনের স্বপ্ন মনে ই ছিলো সুযোগ ছিলো না কোনো
মনে মনে ঠিক খুঁজছিলাম সুযোগ পেয়েই গেলাম হেনো।


সেই ছোটোকালে পল্লী কবিরে বেসেছি কতোনা ভালো
আজও কেঁদে মরি পল্লী কবিরে যাওনা ফুটিয়ে আলো
এমনি করে কবির হলে ঠাঁই হলো মোর ভালে
ছোটোকালে তারে বেসেছি ভালো ভুলবো ক্যামন করে।


এই হলো মোর কবি প্রীতি কবিকে ভালোবাসা
কবিকে ভালো বেসেই তবে কবির হলেই আসা
পুরো শিক্ষাকাল ঢাবিতে আমি পল্লী কবির হলে
থেকেছিনু হায় হৃদয় ও শরীরে মনের গভীর বলে।


ভালোবাসায় পড়ে এস এম হল ছেড়ে কবির হলে তাই
জসীমউদ্দীন হলে উঠলাম শেষে আমার হলো যে ঠাই।
পল্লী কবিরে ভালোবাসা মোর জীবনের থেকে শুরু
আজও তারে হায় ভালোবাসি তায় সেযে আমার গুরু।


প্রকাশস্থানঃ
বাংলো
জেলা ও দায়রা জজ
সুনামগঞ্জ ।


প্রকাশকাল-
সময়ঃ ১২-১৪মিনিট
তারিখঃ
বাংলা=         ১৪২৭
ইংরেজী=০৭-০২-২১