কেমন করে এমন কাব্য লিখতে পারে কেউ?
নেই কি তাহার লেখাপড়া সভ্যতার ও ঢেউ?
কাব্যতো নয়,আবর্জনা নিছক খোঁচা মারা
ডাস্টবিনেতে জায়গা তাদের ময়লা খাবে তারা।


লেখালেখি করি সবাই আনন্দ পাই খুব
তারি মাঝে সংকীর্ণতা কেনো মারে ডুব?
সভ্য হবো সকল কবি মন হবে খুব বড়ো
শিক্ষিত সব সভ্যজনে কেমনে খোঁচা মারো?


কেবা বড়ো কেবা ছোটো কাব্যাসরের কবি
এসব ভুলে কাব্যাসরে আঁকুন ফুলের ছবি।
কাব্যাসর তো ফুলের বাগান ফুটবে সেথায় ফুল
সেই ফুলেরই সৌরভে আজ মুগ্ধ কবিকুল।


কাব্যের বিরুদ্ধে কাব্য করা আদৌ কাম্য নয়
রুচি মতো করলে কাব্য কবিরই জয় হয়।
হিংসা-বিদ্বেষ,সংকীর্ণতা দূর করি আজ সবে
কাব্য করবো মনের সুখে পাখিরা গান গাবে।


কাব্য লেখার স্রোত কবির বইবে চিরকাল
থাকলে নদী স্রোতস্বিনী আবহমান কাল।
কাব্য দিয়ে কাব্যের পিঠে মারলে কেহ ছুরি
করছো তুমি অসভ্যতা মূর্খতা জোচ্চুরি।


কারো কাব্যে মারলে ছুরি রক্ত যদি বয়
উঠবে ক্ষেপে কাব্য সমাজ কবি জগৎ ময়।
অসভ্যতা সংকীর্ণতা ঝেটিয়ে ক'রে দূর
পৌঁছে যাবো সকল কবি কাব্য মধুপুর।


আসুন সবাই শপথ করি কেউবা কারো দিকে
মারবো না কেউ কাব্য ছুরি কাব্যের পেছন থেকে।
পেছন থেকে মারলে ছুরি ফিরবে নিজের দিকে
কুল হারাবে তীর হারাবে সবই হবে ফিকে ।