কাঠাল চোর ধরার জন্য সকল গ্রামবাসী
উঠে পড়ে লাগলো সবাই এ যে সর্বনাশী
দুই টাকার কাঠাল কেনো করলো চোরে চুরি
কেউ বা বলে ভাঙ্গো বাড়ি বানাও গো চচ্চড়ি।


গ্রামবাসী সব গেলো ক্ষেপে ধরতে হবে চোর
চোরের সাথে থাকবে যারা তারাও বড়ো চোর
নেতা গুতা ময়মুরুব্বি আর গ্রামের মাতুব্বর
কেউ কাউকে ছাড়ে নারে এখনই চোর ধর্।


কাঁঠালের দাম ভাবে নারে কাঠাল চোরই বড়ো
কাঠাল খেয়ে চোর যে এখন ভয়ে জড়সড়।
সবাই বলে চোর ধরো ধরবো কেমন করে
কেউ বা বলে চোর যে মোদের মাঝেই ঘোরে ফেরে।


বাটি চালান তুলারাশি আনো ত্বরা ডেকে
কেউ বা বলে চোরের ব্যাটা যায় না যেনো ভেগে।
শরীফ বাড়ি শেখ বাড়ি বৈরী চিরকাল
এ সুযোগে শরীফ বাড়ী কাটতে হবে খাল।


কানে কানে তুলারাশি শুনলো কিছু নাম
বললো কিছু নেতাগুতা এর মাঝেই কাম।
চটা চালান বাটি চালান এবার হলো শুরু
ধান পাটের ভিতর দিয়ে কুদরতি গেম শুরু।


সরাসরি তুলারাশি ঢুকলো চোরের বাড়ি
বাড়ির চোটে তুলারাশি খেলো গড়াগড়ি।
পক্ষদ্বয়ের মাঝে এবার লাগলো মারামারি
ঢাল সড়কি ভেলা নিয়ে আয়রে তাড়াতাড়ি।


বাড়িধুড়ি কোপাকুপি ইচ্ছে মতো হলো
কেউ হারালো হাত পা আর কেউ বা জেলে গেলো।
দুই টাকার কাঠাল চোরা বাদ পড়ে যায় শেষে
খুন হয়ে যায় পাঁচু শরীফ মামলা অবশেষে।


ভেলার কোপে বুক চিতিয়ে পাঁচু মাটির পরে
লাঠির বাড়ি মাথায় খেয়ে জাগায় পাচু মরে।
মারা গেলো পাঁচু শরীফ বাড়ির পরে তার
দৌড়ে পালায় শেখেরা সব কোথায় যাবে আর।


আসামি হলো ধলা কালা বুড়া তাদের সাথে
সোনা সহ আরও দশজন ছিলো সাথে সাথে।
খুনের মামলা অবশেষে মামলা হলো শেষ
মামলার শেষে বিচার হলো বিচার হলো বেশ।


সোনা সহ দশ আসামি পেলো সবাই খালাস
ধলা কালা বুড়ার ফাঁসি পুলিশ করে তালাস।
দুই টাকার কাঠাল চোরের হলো না রে কিছু
হাত পা ভাঙলো নিরিহদের মরলো পাঁচু পিছু।


দুই টাকার কাঠাল নিয়ে মানুষ হলো খুন
বুঝলো নারে গ্রামের মানুষ পলিটিক্সের গুণ।
ধৈর্য সহ্য মস্তবড়ো মহৎ বড়ো গুণ
থাকলে কারো হয় না ক্ষতি কিসের আবার খুন।


ছোটো-ছোটো জিনিস নিয়ে করলে বাড়াবাড়ি
হারবে শেষে জীবন যাবে মরবে তাড়াতাড়ি।
গ্রামের মানুষ সহজ সরল বোঝেনা তেমন কিছু
ভিলেজ পলিটিক্স থাকে সদাই তাদের পিছু পিছু।


প্রকাশস্থানঃ
বাংলো
সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ
সুনামগঞ্জ।


প্রকাশকালঃ
সময়ঃ ১৩-৩২মিনিট
তারিখ -
বাংলাঃ ০৩ ফাল্গুন১৪২৭
ইয়রেজীঃ ১৬-০২-২০২১