অক্ষরবৃত্ত, মাত্রাবৃত্ত আর স্বরবৃত্ত না কি কাব্যসৃষ্টির অপরিহার্য
নীতিমালা?
বিশেষ করে অক্ষরবৃত্ত আর মাত্রাবৃত্ত না হলে না কি কবিতা
হয় না ? কাব্য হয় না? আমি বিশ্বাস করি না,পৃথিবীর সব
কবি বললে ও এ নিয়ম আমা দ্বারা অনুসৃত হবে না কোনোদিন
হতে পারে না কারণ, আমি ছন্দ জানি না, ছন্দ আমি বুঝি ও না
বুঝতে চাই ও না


তারপর ও আমি কবিতা লিখবো,হযতো বা কবিতা হবে না
হ য ব র ল হবে, হোকনা, আমি তা-ই লিখবো
লিখবো একান্তই মনের আনন্দে,মনের সুখে,মনের কথা
খুলে বলবো, তাতে কেউ পড়ুক বা না পড়ুক,আমার কি
আসে যায়? এই তো মাত্র সেদিনের কথা,কতো কষ্ট করে
বাংলা ও ইংরেজী গ্রামার শিখতাম,আজ সেগুলি আর তেমন
মানা হয় না, স্কুল-কলেজের পাঠ্যে তার কমই শেখানো হয়
এখন কম্যুনিকেটিভ ইংলিশের নামে গ্রামার এর তেমন
ব্যবহার দেখা যায় না, তাতে কার কি আসে যায়?


জাতীয় ভাষার পাশাপাশি টিভিতে এখন বরিশাল,
নোয়খালী ও সিলেটী ভাষায় নাটক হয়, আহা! কি আনন্দ!
সেখানে জাতীয় ভাষা তেমন ব্যবহার করা হয়না, মানুষ দ্যাখে
ভোগ করে, কেউ তো কিছু বলে না, তারপর ও সেগুলি
চলছে,চলবে,বুঝতে কারো অসুবিধে হচ্ছে নাতো
এখন ধরুন কবিতার কথা,অক্ষরবৃত্ত, মাত্রাবৃত্ত আর স্বরবৃত্ত
ছাড়া কবিতা লিখলে যে ক্ষতিটা হবে,সেটা হলো কবিতা লেখার
যে স্থায়ী রূপ,যে নিয়ম আছে,তার ব্যত্যয় ঘটবে,সে নিয়ম মানা
হবে না,তাতে কি হবে? কবিতা বুঝা যাবে না?
কেউ কি কবিতার অর্থ কুঝবে না? না তা হতে পারে না,
আমি তা মানবো না, মানতে পারি না!


কবিতা যদি অর্থপূর্ণ হয়,যদি শ্রুতিমধুর হয়,যদি পাঠক
কূলের সাধারণের বোধগম্য হয়,যদি সেটা হৃদয়গ্রাহী হয়,
যদি উপমা ব্যঞ্জক হয়,যদি রূপক সমাহার হয়, তাহলে ছন্দ
ছাড়া কাব্য সৃষ্টি হলে কবির মনের ভাব প্রকাশের অন্তত একটা
সুযোগ থাকে,সে কবিতা পাঠক গ্রহন করবে,তবে কবিরা এটা
কোনো
ভাবেই মেনে নেবে না,কারণ তারা বলবে এটা কোনো কবিতা
হতে পারে না, জানি এ নিয়ে নানা রকম কথা হবে,
বিতর্ক হবে,সমালোচনা হবে এ বলে যে কবি ও হবেন
আবার নিয়ম মানবেন না,তাতো হবে না
এরকম কবি দরকার নেই


তারপর ও আমি বলবো,আর যা-ই হোক,আমার দ্বারা অন্তত
ছন্দ হবে না, আমি এক ছন্দহারা কবি,ছন্দ শেখা এক কঠিন
কাজ
যা কবিরা খুব সহজে আয়ত্ত করতে পারেন,আত্মস্থ করতে
পারেন শিখতে পারেন,কিন্তু আমি পারি না
তাতে আমার কবিতা কেউ পড়ুক বা না পড়ুক!