একদেশে এক কুলি ছিলো
নাম ছিলো তার আয়না
চুলহারা তার মাথা ছিলো
ধরতো শুধু বায়না।


গোপাল ভাড়ের মাথার মতো
ছিলো তাহার মাথা
পেটটা ও ঠিক ভাড়ের মতো
ছিলো তাহার ব্যথা।


টাকের পরে ডিম ভাজতে
চাইতো সকল লোকে
ভেঙে দিলে তেলছাড়া ডিম
ভাজা হতো ওকে।


ভুড়ি তাহার নাকের থেকে
গ্যাছে হাটুর নীচে
গোপাল ভাড়ের ভুড়ির মতো
থলথলিয়ে নাচে।


ছোট্টো একটু মাথা তাহার
মুখখানা তার গোল
ভুড়ির মতো মাংস মুখে
কোটরে তার চোখ।


সবাই তাকে আয়না বলে
চেহারা দেখে আর
আয়না হয়ে পায় না দেখতে
চেহারা নিজের তার।


কালো না কি ধলো নাকি
কিম্ভুতকিমাকার
চামচা কিছু বোদ্ধা বলে
এতেই খুশী তার।


লেখাপড়া একটু জানে
শিক্ষিত্ কয় লোকে
নাচন তাহার তাধিন ধীন
খুশীর পলক চোখে।


নষ্ট করে দিস্তা দিস্তা
কাগজ তাহার যতো
লেখে কিছু কিসসা কথা
মনে তাহার শতো।


কতো মানুষ চেহারা দেখে
দাড়িয়ে সামনে তার
অথচ সে পায়না দেখতে
নিজের ছবি তার।


নিজেকে সে জ্ঞানী ভাবে
বুদ্ধিমান ও বটে
জ্ঞানের চোটে শূন্য বেলুন
রাত দুপুরে ফাটে।


হামবড়ো ভাব ছটাক খানেক
আছে তাহার মাঝে
তৈলবাজদের কথায় কথায়
সকাল বিকেল সাজে।


খুশীতে হয় আত্মহারা
মুই যে আজি হনু
চাটুকারদের তেলের জ্বালায়
রাতকে বলে দিনু।


অবস্থান তার জানে না সে
আসলে সে কি
ভেলকি বাজরা বলে তারে
আসল গাওয়া ঘি।


বাংলো
জেলা ও দায়রা জজ
সুনামগঞ্জ


প্রকাশ কাল
সময়ঃ৫-৪৫মিঃ
তারিখঃ০৯-০৭-২০২০ইং