আমাদের কোনো হোটেল ছিলো না
কোনোদিন কোনোকালেই কস্মিনকালেও না
আমার চৌদ্দ পুরুষও ভাবে নাই কোনোদিন
তার ওয়ারিশ কন্যা প্রাচ্যের অক্সফোর্ডের ছাত্রী হয়ে
একদিন পুরি সিঙ্গাড়া ঝাল মুড়ির দোকান দেবে
গরুর মাংস ভোনা করবে শিং মাছের ঝোল রান্না করে
তরতাজা কাস্টমারের অভাব বোধ করবে
অপেক্ষায় থাকবে কখন তারা আসবে
তাদের পছন্দের রান্না টেবিলে সাজিয়ে দেবে
খাওয়া শেষ না হওয়া অবধি একটু দূরে চেয়ারে বসে
অপেক্ষা করবে
আর বলবে আর কিছু লাগবে কিনা
সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এভাবেই কেটে যায় তার দিন
সানাই বেজে ওঠে রাত নেমে আসে তার শরীরে
অতিশয় ক্লান্ত দেহে ঠিক রণক্ষেত্রে পরাজিত সৈনিকের
মতো
এলিয়ে দেয় শরীর তার বিছানার ওপর
কখন যে আবার
ভোরের হিমশীতল হাওয়ার ধাক্কা লাগে দরোজায়
ঠিক কিছু বুঝে ওঠার আগেই
জেগে ওঠে ঠিক কর্তব্যের কড়িকাঠে
না না হোটেল ব্যবসাকে আমি খারাপ বলছি না
কোনোভাবেই
দিনশেষে শান্তি খুঁজে ফিরি এটা ভেবে যে অন্তত
কিছু মানুষের সেবা তো করতে পারছি
অনার্স মাস্টার্স এর রেজাল্ট নিয়ে হয়তো একটা ক্যাডার
প্রাপ্তির দৌড়ে এগিয়ে থাকতাম
একটা ছন্দময় জীবনের স্বপ্ন স্বাধ পূরণে এগিয়ে যেতাম
কলের গাড়ির চাকার মতো শহর থেকে শহরান্তরে
ঘুরে বেড়াতাম 
ভিন্নতর জীবনের একটা স্বাদ নিতাম প্রাণ ভরে
সেটা তো শুধু স্বার্থপরের মতো আমার একারই হতো
বাকী সব মানুষ যারা আমার কাছে আসে
তাদের কি হতো?
নিবেদিত আমি শুধু তাদেরই জন্য
হোটেলটার নাম করণ আমার সে কারণে আর বৃথা
যায়নি হয়তো
" ...............নর্থ বেঙ্গল হোটেল এ্যান্ড রেস্টুরেন্ট"-
ক্ষুধা পেলে আবাসন সমস্যা হলে চ'লে এসো
প্রিয় নর্থ বেঙ্গল বাসী দ্বিধা কোরোনা একটুও কিন্তু
হোটেল ফেলে আমি কোত্থাও যাইনা যাবোও না কখনো
আবার কখন তোমরা চ'লে আসো এই আশঙ্কায়
বসে থাকি ঠিকঠাক সুবোধ বালিকার মতো
প্রিয় নর্থ বেঙ্গল বাসী
আমি তোমাদের অনেক ভালোবাসি
আমার হোটেল কেমন খালি খালি লাগে
এখনই চ'লে এসো তাড়াতাড়ি চলে এসো
অপেক্ষার তর যে আমার সয়না আর