কেনো এমন করলে তুমি?
বলোতো?
কাকনের ঝুনঝুন শব্দে
ঘাড়টা ঘুরিয়ে দেখলাম
তুমি ওর দিকে তাকিয়ে


ওর দিকে ঘাড় ফেরালে তুমি
ওর দিকে তাকালে
বজ্রপাতের মতো খসে পড়ে
আমার হৃদয়
সাদা পাথরে হয় নাথামা রক্তক্ষরণ
ঝরঝর করে জলরাশীর মতো
ঝড়ে পড়ে, কলার থোড়ের মতো
সাদা সাদা রক্ত
শতবর্ষী বটবৃক্ষ পালন করে
হাজার বছরের মৌনতা
নীরবতায় স্তব্ধ করে, দূর পথিকের
পথচলা
জলাঙ্গীর ঢেউ যায় থেমে
শাপলার গায়ে জড়ানো লতাপাতা হয়
স্তব্ধ
স্থবির হয়ে যায় একেবারে
ধান সারির ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া
সমীরণের,দোলা যায় থেমে
খসে পড়ে দালানের পলেস্তারা


তুমি ওর দিকে ওভারে তাকিয়ে থাকলে
নিদ্রাহীন,পলকবিহীন চোখে
ধুমকেতুর মতো আছড়ে পড়ে
আমার হৃদয়ে
একশো একটা অসুখ


অভুক্ত থাকি সারাক্ষণ,'সারাদিন, সারারাত
চোখের পাপড়ি বেয়ে, গড়িয়ে পড়ে রক্তজল
থেমে যায়
কলসি কাকে নদীর ঘাট থেকে রমনীর ঘরে ফেরা
সান্ধ্যকালিন ঘরে ফেরা হাঁসটা ঠাঁই দাড়িয়ে থাকে
খালের তীরে
স্তব্ধ হয় স্রোতের বিপরীতে বৈঠা হেনে মাঝির
এগিয়ে যাওয়া


দিশেহারা বলাকার মতো,দিগ্বিদিক জ্ঞান হারাই
আমি
চলে যাই ঘাসবনে
বসে থাকি একা
যদি হয় ঘুঁটেকুড়ানি বুড়ির
সাথে দেখা


কথা দাও প্রিয়া মোর
আর তুমি ছড়াবে না
আমার দেয়া,বকুল ফুলের, মালার সৌরভ
তুমি ওর চোখে
তাকাবে না ওর দিকে, সোজা যাবার ভান করে
একটু ও এঁকেবেঁকে


তুমি যদি আর কভু,তাকিয়েছো
ওর দিকে
তোমার সোনাঝরা আঁখির পাপড়ি মেলে
মোনালিসার চোখে
তুমি যদি না দেখার ভান করে
ফিরে তাকিয়েছো,ওর চক্ষুপানে
জেনে রাখো,শুনে রাখো, প্রিয়া
কাঁদিবে আকাশ, কাঁদিবে ভূবন
পাবে না কেউ খুঁজে আমাকে তোমার চারিধার
পাবে নাকো খুঁজে আমাকে এ ত্রিভুবনে আর


তাই বলি শোনো,প্রিয়া আমার
শোনো তুমি, একবার
আর কভু চেও নাকো
ওভাবে তুমি ওর দিকে আর
অমন পলক, মেলো নাকো প্রিয়া
ওর দিকে তুমি ফিরে আর!