আমি তখন লাজুক ছিলাম
ভীষণ লাজুক,ভাবতে পারো
বয়স আমার তখন কিন্তু খুব বেশী না
হৃদয়,মনে,শরীরেও চোখের পাতায় ভালোবাসা
তখন আমার আকাশ সমান
প্রেমের জোয়ার তোমার জন্য যাচ্ছে ভেসে
চোখে-মুখে, ঠোঁটে আমার
প্রেম পাখিটি
তোমার জন্য গান ধরেছে


বুঝতে আমি পারছি না ঠিক, ঠিক তোমাকে
কেমন করে বুঝাই বলো
বুঝতে নারে চাও আমাকে


যা চাচ্ছো তা বুঝতে আমি পারছি না ঠিক
মরছি আমি দিবিনিশি লাজ শরমের মাথাকুটে
তোমার চাওয়া বুঝতে গেলে
এই আমি যে যাই হারিয়ে অন্ধকারে
চাইলো না তো বুঝতে আমায় তেমন করে  


হঠাৎ করে হয় কিছু হয়
তাতো আমার নাই জানা নাই
এগিয়ে এসে
বুঝলে তা না হৃদয় দিয়ে


আমি তখন অবলা এক ছোট্ট মেয়ে
কতোই বা আর বয়স আমার
বুঝবো আমি কেমন করে
বুঝাতে তাই পারিনি তোমায় আমার করে
দ্বিধা-দ্বন্দ্বের ঘোর কাটেনি তখনও যে


আকাশে তখন তুমুল বজ্রপাত আর মেঘের ঘনঘটা
হঠাৎ করে ঝড়-বৃষ্টির তান্ডব এসে
সবকিছু ওলট-পালট করে দিয়ে গেলো আমার


আমি তখন নড়বড়ে সাঁকোর ওপর দাঁড়িয়ে
থরথর করে কাপছিলো সাঁকোটি
আমি পড়ে যাচ্ছি, পড়ে যাচ্ছি, প্রায় পড়ে যাচ্ছি
সাঁকো থেকে
ঠিক এমন-ই এক মুহূর্তে আমার হাত ছেড়ে
দিলে তুমি


অসহায়ের মতো কাঁপতে কাঁপতে
সাঁকো ভেঙ্গে
ধপাস করে পড়ে গেলাম আমি
পাশে নেই কেউ আমার
চলে গেলে তুমি
চলে গেলে অনেক দূরে
আমা হতে এক কোটি বছরের ও বেশি দূরে
না জানিয়ে কি দোষ ছিলো তখন আমার?


আমার অব্যক্ত বেদনা, হাহাকার আর শূন্যতার
ওই পোকাগুলি
কুঁড়ে কুঁড়ে খেতে লাগলো এই আমাকে
বিষন্নতা আর নিদ্রাহীনতা গ্রাস করলো রাত্রিলোকে


এই অবস্থায় কিছু-ই না বলে
হঠাৎ গেলে নির্বাসনে
চলে গেলে তখন তুমি
পালিয়ে গেলে একেবারে অচীন দেশে
পালিয়ে গেলে একেবারে আমার থেকে
পেলাম না আর খুঁজে তোমায় আমার চোখে
ভার্সিটির ওই বাসের ওপর তাক করেছি  
শকুন চোখে
খুঁজছি তোমায় হাজার বারে, পাইনি দেখে


জানি না তুমি কোথায় আছো
কেমন আছো?
ড্রেসিং টেবিলের সামনে দাড়িয়ে এখন তুমি
কাকে ভাবছো?
আমার জন্য কখনো কি গলির কোণে
দাড়িয়ে আছো?
হতাশার ঐ শূন্য চোখে


যেথায় থাকো, যেমন থাকো
ভালোই থেকো
তোমার জন্য ভালোবাসা এখনো আছে
আকাশ সমান
জেনেই রেখো
আবার যেনো বটতলাতে হয়গো দেখা
মনেই রেখো
চিনতে কিগো পারবে আমায়
অপরাধী সেই তোমার ই?
ভেবেই দেখো