স্বপ্নের সিড়ি বেয়ে ভালোবাসতে ছেয়েছিলাম
একদিন তোমাকে আমি
অনেক ভালোবাসতে চেয়েছিলাম তোমাকে
চেয়েছিলাম ভালোবাসতে তোমাকে শত সহস্র কোটি বার


কিন্তু তুমি তো ক্রমশই দূরে সরে গেলে
আস্তে আস্তে নদীর জলের মতো দূরে চলে গেলে
ঠিক যতটুকু দূরে গেলে নক্ষত্রকে ছোঁয়া যায়
ঠিক অতোটা দূরে
কি করে ভালোবাসবো তাহলে তোমাকে আমি?


পাশাপাশি বসবো
স্পর্শ করবো বিড়ালের নরম পায়ে হেঁটে যাওয়ার
শব্দের মতো 
লাউয়ের ডগার মতো আঙ্গুল ছোবো সুখ শিহরণে
চোখে চোখ রাখবো
মনে মনে কথা বলবো
জামদানী শাড়ির আঁচলে মাখা সৌরভ কুড়িয়ে নেবো
মুগ্ধ মোহিত হবো
হৃদয়ের উষ্ণতা মেলে দেবো


এভাবেই ভালোবাসার এক তড়িৎ হতে চেয়েছিলাম
আমি 
কিন্তু তুমি তো ক্রমশই অনেক দূরে সরে গেলে
আমাকে পেছনে ফেলে আরও অনেক পেছনে ফেলে


কতো স্বপ্ন কতো ছবি কতো আকাশ কতো চন্দ্র সূর্য
কতো নক্ষত্রের ছবি আঁকলাম তোমাকে নিয়ে
শেষ পর্যন্ত কিছুই হলো না আমার
কোনো কিছুই আঁকা হলো না বাস্তবে আর
সবই যেনো হিজিবিজি হযবরল হয়ে গেলো শেষ পর্যন্ত


তোমার কাছে আর বসা হলো না
তোমার কাছে আর যাওয়া হলো না
তোমার ছবি আর আঁকা হলো না
আমার স্বপ্ন আর বোনা হলোনা
সকল স্বপ্নই অধরা রয়ে গেলো আমার


বিষ্ময়ে হতবাক হয়ে তাকিয়ে রইলাম শুধুই
আকাশ পানে
আজও তাকিয়ে আছি ঐ দূর কুয়াশার পানে
ঐ দূর নক্ষত্রের পানে