সেই তুমি-ই-তো এখন রান্না করছো
ঠিকঠাক ভাত বেড়ে ডাইনিং টেবিল সাজাচ্ছো একেবারে
মনের আনন্দে
স্বামীকে ডেকে এনে মনের সুখে গল্প করছো আর খাচ্ছো
বাচ্চাকে নিয়ে স্বামীর সাথে শপিং এ যাচ্ছো
পছন্দ ক'রে স্বামীকে একটা শার্ট গিফট করছো
চাইনিজে যাচ্ছো আর মিষ্টি আলোয় মুচকী হাসিতে
পরস্পর হারিয়ে যাচ্ছো, সলাজ চাহনীতে ক্ষনিকের তরে


কাপড় আয়রন করছো, বাচ্চাকে নিয়ে স্কুলে যাচ্ছো
ড্রেসিং টেবিলের সামনে দাড়িয়ে চিরুণী দিয়ে আয়েশ ক'রে
চুল আচড়াচ্ছো
কারাের পথ চেয়ে গভীর রাত জেগে জেগে ক্লান্ত হয়ে নিদ্রা
যাচ্ছো
নিদ্রা তো নয়, তন্দ্রাহীনতায় সময় খেয়ে নিচ্ছো তোমার না
ফোরানো রাতের


তোমার চোখের নীচে আজ কালো দাগ  
মেকাপের সুনিপুণ ব্যবহারে ঢেকে দেবার চেষ্টা করছো
আজ তোমার কাছে সবকিছুই স্বাভাবিক না হলেও মেনে নিচ্ছো
সব
আজ কোনো রাগ,অভিমান নেই তোমার
অপেক্ষা তোমাকে বিচলিত করে না আজ আর ঘন্টার পর ঘন্টা
রাতের পর রাত আর দিন বসে থাকো স্বামীর অপেক্ষায়


হয়তো বা গুয়ান্তানামোবের কয়েদীর ন্যায় দিন গুনছো কবে
মুক্তি পাবে আর অতীতের ভুলের অঙ্ক কষছো
আর মিলানোর চেষ্টা করছো কিন্তু এতো পুরানো অঙ্ক কি আর
মেলে?
আজ তুমি সবই পারো অথচ আমার কি দোষ ছিলো?