প্রতিদিন সকাল সন্ধ্যা একটা রজনী গন্ধা ফুলের গাছে
জল দিতাম বুকভরা সাহস নিয়ে
ধীরে ধীরে গাছটা ডালপালা মেলতে শুরু করলো
প্রাণবন্ত হ'য়ে উঠলো ঠিক জলকুমুদের মতো


ডাগরডাগর চোখে হরিণের মতো চাহনি
সুতীক্ষ্ণ বেয়নেটের মতো দৃষ্টি
সদাই জাগ্রত গাছটা নিজের শরীরের প্রতি
আস্তে ধীরে গাছটা চোখ মেলতে লাগলো


পাড়ার সকল তরুণ যুবক সদলবলে গাছটার কাছে আসতে
শুরু করলো
কিভাবে পানি দেই কতোটুকু দেই কখন দেই এসব হিসেব
রাখা যেনো সকলের বড়ো দায়িত্ব হ'য়ে গেলো
পালা করে পাড়ার ছেলেরা আসে
আর গাছটির শরীর ডাল পাতা সবকিছু অনুবিক্ষণ করে
তাদের আগমনী বার্তা গাছটাকে মোহনীয় কমনীয় ক'রে তোলে


এতোদিনে গাছটা বেশ ডাঙ্গর হ'য়ে উঠেছে
চাইলে সে নিজেও নিজের শরীর থেকে চোখ ফেরাতে পারেনা
লাজুকলতা গাছটি যেনো পুরোদস্তুর এক অভিনেত্রী পাখি
কৌতুহলের খোলস উম্মোচন করতে গিয়ে কেঁপে ওঠে আঁখি


রজনীগন্ধার গুচ্ছ গুচ্ছ ফুল ও পাতার সুঘ্রাণে মাতোয়ারা চারদিক
পুরো পাড়া পুরো মহল্লার সাহেব সুবো সকলেই শিহরিত উদ্বেলিত
আর আমি তো বটেই


গাছটা এতো দ্রুতই সৌরভ ছড়াতে থাকলো যে তাকে পাহারা
দেবার জন্য আরো একজন অতিরিক্ত মালির ও দরকার হলো


ইতোমধ্যে গাছটার ছায়া নিয়ে কিছু লিখবো লিখবো করে ভাবতে
থাকি 
যুৎসই শব্দের জন্য যত্রতত্র ঘুরতে থাকি
শেষে স্বয়ং লুক্রেতিউস এর কাছে গিয়ে ধর্না দিলাম
সে বললো তুমি যতোই জল ঢালো আড়নয়নে তারদিকে দৃষ্টি
নিক্ষেপ করোনা কেনো
দেখবে
মাত্র কয়েকদিনের মধ্যেই গাছটির ডাল ভেঙে পড়বে
তোমার অজান্তেই ভেঙে পড়বে সযত্নে গড়ে ওঠা ডালটা
আর ভেঙে পড়া ডালটা কাঁধে তুলে নিয়ে পাড়ার এক যুবক
দেবে জান বাঁচানো ভোঁদৌড়
সীমান্তের ওপারে পালিয়ে যাবে সে টিক যতোদূর চোখ যায় তার  


খুঁজে তুমি পাবে নাকো তাকে তুমি আর
কস্মিনকালেও পাবেনাকো খুঁজে তুমি আর
আমি তাই দেবোনা তোমাকে শব্দ কি শব্দের ভান্ডার