গরীব ঘরের ছেলে শাহিন লেখাপড়া শেষে
চাকরি পেয়ে বড়ো পদে আনন্দে যায় ভেসে।
বাপ মা তাদের বেজায় খুশি খুশী যে ভাই-বোন
থাকবে তারা শান্তি সুখে আত্মীয় স্বজন।
চলছিলো দিন ভালোই তাদের যাচ্ছিলো দিন ভালো
ছেলে তাদের বিয়ে করে জ্বাললো ঘরে আলো।
দিন গেলো মাস গেলো বছর গেলো কেটে
এরি মাঝে খবর এলো পড়লো ছেলে কেটে।


ছেলে তাদের নেয় না খবর পাঠায় না আর টাকা
এরি মাঝে বুড়ো একদিন পৌঁছে গেলো ঢাকা।
ছেলে তখন অফিসে আর বৌমা আছে বাসায়
বাইরে বুড়ো আছে বসে ছেলের ফেরার আশায়।
অবশেষে বাপকে নিয়ে ছেলে গেলো বাইরে
আসলো ছেলে ফিরে একা সাথে বাবা নাইরে।
আসার পরে আজরাইলে ধরলো স্বামীর ঘাড়
বাপকে নিয়ে কোথায় গেলি এক্ষুনি তুই বল্।


আজকে যখন ধরছি তোরে ফাটাবো তোর মাথা
হাসপাতালে পাঠাবো তোরে সারাতে গার ব্যথা।
অগোচরে মাসে মাসে ভাই-বোন কে কেনো
কাপড়-চোপড় টাকা-পয়সা পাঠাবি তুই হেনো।
কারে কারে পাঠাস টাকা এক্ষুনি তুই বল্
মাইরের চোটে নইলে এখন হাড় করবো জল।
প্রশ্ন আর হ্যামার তাহার চলছিলো হরদম
কি করবো কোথায় যাবো যাচ্ছে বেরোয় দম।


প্যাদানি দেয় এমন জোরে পারিনা আর সইতে
এমনি গেলে অমনি মারে পারি না যে কইতে।
অবশেষে বড়ো মেয়ে দৌড়ে এসে কয়
করছো কি মা বাবারে জানযে বেরোয় যায়।
বৌ তখনই বললো রেগে শোনরে বেটি শোন্
ভাই-বোন তার টাকার জন্য ডেইলি করে ফোন।
সাথে সাথে পাঠায় টাকা একটু ও নয় দেরী
দুদিন পরে করতে হবে রাস্তায় আমায় ফেরি।


মেয়েটি আমায় দেখে বলে কি করেছো মা?
বসিয়েছো ইচ্ছে মতো আঘাত তেরো ঘা।
এখনই নাও হাসপাতালে নইলে আমার বাবা
প্রাণ হারাবে এখনই সে আর না ফিরে পাবা।
মেয়ে আমার সাথে সাথে হাসপাতালে নিলো
ডাক্তার দেখে ওষুধ আমায় তৎক্ষনাৎ ই দিলো।
আসলাম ফিরে বাসায় আবার মেয়ে আমার সাথে
খেয়েছি মাইর বৌএর হাতে কি হয়েছে তাতে!


বৌ বলে কড়াল কর্ আর কখনো টাকা
দিবিনা তোর বাবা-মা কে ভাই-বোন তো ফাঁকা।
বললাম আহা ঠিক আছে আর দেবো না টাকা
দম ফেলতে দাও না আমায় নইলে পাবো অক্কা।
কড়াল করে বাঁচলাম সেদিন বৌএর হ্যামার থেকে
এদিক সেদিক হলে আবার উঠবে হ্যামার বেঁকে।
দয়ামায়া নাইরে বৌএর সীমারের চেয়ে তার
নিষ্ঠুরতা এতোই বেশি মারে যে হ্যামার।


নারীর জন্য আছে আইন শাস্তি অনেক বেশি
নির্যাতনের মামলা হলে শাস্তি রাশি রাশি।
সাবধানে তাই থাকুন সবাই আমরা পুরুষ বলে
পানের থেকে চুন খসলে যেতে হবে জেলে।
বাবা-মার ছেলে আমি আজ না কারো স্বামী
তাদের চেয়ে বৌযে আজি সোনার চেয়ে ও দামী।
সে যে দামী স্বামীর কাছে মিথ্যে সে-তো নয়
তাই বলে কি বাবা-মা কে ছুড়ে ফেলা যায়?


নারীর জন্য আইন আছে পুরুষের যে নাই
সে কারণে পুরুষ নির্যাতন আইন একখান চাই।
ঘরে ঘরে চলছে হ্যামার আর না দেরী করে
আসুন সবাই আইনটা চাই ন্যায় বিচারের তরে।
আর না হলে এমনি করে চোরাগুপ্তা হামলা
চলবে সবার ঘরে ঘরে আরও খাবে মামলা।
ন্যায় বিচার সবার জন্য নয়তো শুধু নারী
আমরাও তো নারীর মতো বিচার চাইতে পারি।


বিঃদ্রঃ সম্মানিত মহিলাদের উদ্দেশ্যে বলছি
শুধুমাত্র কবিতার জন্যই এ কবিতা লেখা ।
এখানে কাউকে
বা কোনো গোষ্ঠিকে কেন্দ্র করে কিছু লিখিনি।
তাই দয়া করে কেউ ভুল বুঝবেন না।