রহিম করিম বন্ধু দু'জন কেউ কাউকে ছাড়ি
পারে না কেউ থাকতে তারাআপন আপন বাড়ি।
একই সাথে চলে দু'জন পিরিতের নাই শেষ
খাওয়া দাওয়া ঘোরাঘুরি এতেই আছে বেশ।
এমনি করে চলছে তাদের চলছে জীবন চলুক
চায়না তারা কেউ বা কিছু তাদের নিয়ে বলুক।
রহিম করিম ব্যাচেলর একদিন রহিম বললো
চলনা বন্ধু মেয়ে দেখতে অমনি করিম চললো।


হাজির হলো মেয়ের বাড়ি যত্ন হলো বেশ
খাওয়া দাওয়ার পরে মেয়ে করলো কথা শেষ।
বাঁশের পাতার মতো চিকন সুন্দর তাহার নাক
ঠোঁট দুটি তার পাতলা আহা আঙুল যে থাক থাক।
লাল টুক টুক শাড়ী পরে লম্বা মতো মেয়ে
যেই না এসে বসলো সামনে করিম গেলো পেয়ে।
মেয়ে হলো পছন্দ আর করবে রহিম বিয়ে
বললো করিম মেয়ে ভালো না দেখি আরও গিয়ে।


করিম এবার রহিম কে নিয়ে ছুটলো বাড়ির পানে
করবে বিয়ে ঐ মেয়ে কে এই ছিলো তার মনে।
মনে মনে ফন্দি এঁটে সন্ধ্যা বেলা করিম
ছুটলো মেয়ের বাড়ির পানে টের পেলো না রহিম।
রাতের মধ্যেই মেয়ের সাথে বিয়ের কর্ম শেষ
রাতের বেলা বৌএর সাথে করিম আছে বেশ।
সকাল বেলা বৌকে নিয়ে ছুটলো বাড়ি করিম
পথিমধ্যে দেখলো সেথায় দাড়িয়ে আছে রহিম।


হাতে লাঠি নিয়ে রহিম দাড়িয়ে রাস্তার পর
এই না দেখে করিম এবার দৌড়ে পগারপার।
লাঠি নিয়ে করলো ধাওয়া কুল পেলো না শেষে
মেয়ের কাছে ফিরলো রহিম ফিরলো অবশেষে।
ঐ মেয়েকে দেখে রহিম হলো পাগলপারা
পালিয়ে গেলো করিম এবার পড়লো মেয়ে ধরা।
বললো মেয়ে রহিম কে সে করিম নাটের গুরু
সন্ধ্যা বেলা বাড়িতে হাজির সেখান থেকেই শুরু।


করিম বলে রহিম নাকি ছেলে ভালো নয়
তার সাথে কি তোমার মতো মেয়ের বিয়ে হয়?
আরো বলে রহিম নাকি নিত্য গাঁজা খায়
এমন ছেলের সাথে কভু তোমার নাহি যায়।
রহিম এখন ছাড়বে না বৌ পারলে করিম আসুক
ততক্ষণে করিম বসে আঙুল তাহার চুষুক।
বসলো শেষে সালিশ গ্রামে ফয়সালা কি হবে
বলবে করিম কি হয়েছে আসল কথা কবে।


মেয়ে দেখার পরে তাহার গেলো মাথা ঘুরে
ভাবলো বিয়ে মেয়ের সাথে আর কতো না দূরে।
এর-পরে ফন্দি এঁটে আনছি তাকে ঘরে
এখন দেখি বন্ধু রহিম যাচ্ছে মারা পড়ে।
কানমলা উঠবস একশো বার সে ক'রে
অবশেষে বৌ তুলে নেয় করিম আপন ঘরে।
এ জগতে ক্ষতি কভু যদি তোমার হয়
করবে কিছু আপন লোকে দূরের কেহ নয়।