পানি খাওয়ার স্কুলের কল থাকতো প্রায়ই নষ্ট
তাই দেখে কেউ বুঝতো নারে ছাত্রদের কি কষ্ট।
দু'টি বাড়ি ছিলো কাছে একটি ছিলো দূরে
একটি যদিও কাছে আবার রাস্তা গেছে ছিড়ে।


দূরে কাছের হিসেব পরে পানি খাওয়ার জন্য
দূর কাছে না হিসেব করে হতাম সবাই ধন্য।
হলদে শেখের বাড়ি ছিলো স্কুলের ঠিক লগ্ন
সে কারণে যেতাম সেথায় পানি পানের জন্য ।


তাড়াতাড়ি আসা যাওয়া করা যেতো তাই
বেলের বাড়ি পড়লে পরে দৌড়ে যেতাম ভাই।
স্কুলের পর মাঠ আর মাঠের পরে বাড়ি
এ বাড়িই জলিল শেখের রাখতো পানির হাড়ি।


পানি খেতে যেতাম আমরা কাছেই তাড়াতাড়ি
এ বাড়িই জলিল শেখের দাদার শ্বশুর বাড়ি।
দু' বাড়িতে এমনি করে চলতো ছোটাছুটি
আসা যাওয়ার পথে আহা কি যে লুটোপুটি।


পানি পানের তৃষ্ণা যতো আনন্দ তার বেশী
এ আনন্দে নিত্য তথায় যেতাম বেশি বেশি।
সত্য কথা কষ্ট ছিলো পানি পানের অনেক
অথোরিটি বুঝতো নারে বুঝলে ও তা ক্ষণেক।


এমনি করে চলতো মোদের পানি পানের ধাওয়া
নতুন করে অনেকে তাই করলো সাথে যাওয়া।
হলদে জলিল একই বংশের তাদের পানি খেয়ে
আজকে আমরা যাচ্ছি আহা সুখের তরী বেয়ে।


ছোটো হলেও অনেক বড়ো ছোট্ট পানির ঘড়া
ছোটো বেলার শেখা বুলি এখনো দেয় নাড়া।
ছোটোর মাঝেও বড়ো আছে বড়োর মাঝে-ও ছোটো
ছোটো বড়ো দু-ই আছে  চোখ খুলে না দ্যাখো।


অসামান্য পানি সেবা পানি খাওয়ানোর জন্য
সেদিনের সে পানি খেয়ে আজকে আমরা ধন্য।        
হাসিমুখে দিতো পানি ছিলো না কোনো কষ্ট
আজও দেখি খুশীর রেখা তাদের মুখে পষ্ট।          


বাংলো
জেলা ও দায়রা জজ
সুনামগঞ্জ ।


প্রকাশকাল-
সময়ঃ ০০-১৭মিনিট
তারিখঃ
বাংলা=            ১৪২৭
ইংরেজী=১০-০২-২১