শতো বছর বয়সী বৃক্ষ শিমুল গাছের ডালে
কাটা থাকলেও দুলতাম সেথা দুলতাম তালে তালে।
স্কুলের ঠিক পূর্ব পাশে বিশাল দেহ মেলে
সারা দিনমান মেলতো পাখা হাওয়ায় যেতো দুলে।


চৈত্র মাসের দ্বি প্রহরে শরীর যেতো ঘেমে
ঠিক তখনই দৌড়ে যেতাম শান্তি খোঁজার নামে।
কাছাকাছি ছিলো বলে একটু সুযোগ পেলে
ছুটতো যে মন খেলতে যেতাম শিমুল গাছের তলে।


অনেক বড়ো দেহ গাছের বাহু ও নয় কম
তারই গায়ে দোল খেয়ে হায় শান্তি যে পেতাম।
কেউ বা ঝুলে গাছের ডালে কেউ বা গাছের নীচে
কেউ বা আবার ইচ্ছে মতো খেলতো নিজে নিজে।


শীতল ছায়াতলে যেতাম সুখের তরী বেয়ে
পাখিরা সব হিংসে করে ভাগ বসাতো চেয়ে।
গাছে চড়া উঠানামা আহারে কি মজা
এখনো মন দোল খেয়ে যায় নিত্যি গাছে সোজা।


চিচি বুড়ী চাড়ার খেলা কিৎকিৎ তারই সাথে
আজও আহা মন ভরে যায় সে সব খেলার সাথে।
এমন সময় আর পাবো না বাংলা মায়ের বাড়ি
আজও সেথায় মন ছুটে যায় মনের জারিজুরি।


মান্দার বলে ডাকতাম গাছকে যদিও শিমুল গাছ
গাছের কাটায় বিদ্ধ হলেও থামতো নারে নাচ।
ছেলেমেয়ে একসাথে সব যে যার মতো খেলে
ঘামের চোটে যেতাম নেয়ে ইচ্ছে মতো খেলে।


এরই মাঝে ঝনাৎ করে পড়লে বেলের বাড়ি
যে যার মতো দৌড়ে যেতাম ক্লাসে তাড়াতাড়ি।
স্কুল আছে ছাত্র আছে এলাকাবাসী ও ওরে
আজ সেখানে অন্য কিছু গাছ সেখানে নাইরে।


স্মৃতি ধরে টান মারে যেই কষ্টে ভরে বুক
বারে বারে যাই ফিরে যাই একটু পাবার সুখ।
আসবে নারে সেদিন ফিরে যেদিন গেছে চলে
এভাবেই দিন চলে যায় আসার কথা বলে।


মানুষ থাকে আশায় আশায় এই বুঝি না এলো
এরই মাঝে সব চলে যায় হয় যে এলোমেলো।
আশায় আশায় থাকে মানুষ আশার নাহি শেষ
এভাবেই যায় চলে যায় সুখের ত্রাহি বেশ।    


প্রকাশস্থানঃ
বাংলো
জেলা ও দায়রা জজ
সুনামগঞ্জ ।


প্রকাশকাল-
সময়ঃ ০০-১৭মিনিট
তারিখঃ
বাংলা=০১ ফাল্গুন ১৪২৭
ইংরেজী=১২-০২-২১