রেজিষ্ট্রেশন হবার দিনে স্কুলে নাই আমি
ক্যানো এমন হোলো আহা জানে অন্তর্যামী।
অর্ধেক ছিলো পড়ালেখা আর্ধেক ছিলো কৃষি
এরি মাঝেই সাঁজতে হলো মস্তোবড়ো ঋষি।


কৃষির সাথে লেখাপড়া বন্ধুরা সব মিলে
সময় পেলে মাছ ধরতাম ঝিমের তালে তালে।
নাড়ার তলে ঠান্ডা জ্বলে সারারাত্রি জেগে
বুডবুডিতে রাগ ছুটাতো মাছেরা সব জেগে ।


দলধরে সব ভোরের বেলা পোলো কাঁধে তুলে
হাজির হতাম জোঁকার বিলে ঝিম ভাঙাবো বলে।
শিং কৈ আর ট্যাংরা মাছের হরেক রকম ফুল
ফুটতো সেথায় সারে সারে হায়রে কানের দুল।


মাটির গড়া হাঁড়িপাতিল কামার কুমার যতো
হৃদয় দিয়ে গড়তো আহা আকঁতো শতো শতো।
ঝিমের মাছে ভরতো হাড়ি মনযে যেতো ভরে
কেউ যে মাছের ক্যাতা খেয়ে লুটিয়ে পড়তো ওরে।


আগুন জ্বেলে ওম পোহাতাম মাছের ক্যাতা খেয়ে
যাসনে তোরা আমায় ফেলে যাস্ রে আমায় নিয়ে।
নাড়ার আগুন জ্বলতো দ্বিগুণ ব্যাথারা যেতো দূরে
বিষের মতো জললেও ক্যাতা বিষযে যেতো মরে।  


মাছ ধরা আর গরুর রাখাল বন্ধুরা সব মিলে
মাঝে মাঝে লেখাপড়া করতাম সময় হলে।
দুপুর বেলা গরুর সারি মধুমতীর তীরে  
গোরুর স্নান শেষ হলে তার গোসল করতাম ধীরে।


গোসল শেষে গরুগুলো জাবরকাটা শুরু
করতো তারা আনন্দেতে করতো গুরু গুরু।
এমনি করে কাটতোরে দিন খুশীর নাহি শেষ  
মাঝে মাঝে লেখাপড়া কি আনন্দ বেশ।


এমন করে চলতো আহা নামের লেখাপড়া
তারই মাঝে শিকদার হলাম শিকদারী শিরদাঁড়া।
নাম ছিলো ঠিক ওয়াহিদুজ্জামান একটু ও নয় ভুল  
এস এম শব্দ কেটে আহা নামজারী যে ভুল।


দেখলো টিচার সোহরাব স্যার এতো কিসের কাম
শিকদার বংশের বাতি ব্যাটা জুড়েই দিলো ধাম।  
দোষ দেবো কি সোহরাব স্যারের আমিই ছিলাম দোষী
সেই দোষেই দোষী আজি দোষী বাংলাদেশী।


সেদিন হতে নামের শেষে শিকদার হলো শুরু  
ডাকতে থাকলো মেঘের মতো ডাকলো গুরু গুরু।
ঘাপটি মেরে নামের শেষে আজো শিকদার বসে
যায় না কিছু আগে পিছু শিকদারে তাই খসে।


সেদিন থেকে নাম নিয়ে হায় দুঃখবোধের শুরু  
ভুল করলে সে করেই ছিলো সেযে আমার গুরু।      
শেষ বয়সে দেখলাম এসে আমার চাচার সৃষ্টি
শিকদারীতে নাম লেখালো কাড়িয়ে সবার দৃষ্টি।          


        
প্রকাশস্থানঃ
বাংলো
জেলা ও দায়রা জজ
সুনামগঞ্জ ।


প্রকাশকাল-
সময়ঃ ১৫-২২মিনিট
তারিখঃ
বাংলা=         ১৪২৭
ইংরেজী=০৫-০২-২১