জীবনে বড়ো হবার স্বপ্ন দেখতে হয়,চিনতে হয় স্বপ্নকে
স্বপ্নদেখা ও সেটা বাস্তবায়নের চেষ্টা-ই এনে দেয় সাফল্য
আর ইতিহাসের ঠিকানা,যারা স্বপ্ন দেখে ও কঠোর শ্রম
আর মেধার সমন্বয়ে বাস্তবায়ন করে,সফলতা উকি মারে
তাদেরই কুঁড়েঘরে,কড়া নেড়ে ঘুম ভাঙ্গায় তাদের


রাইট ভ্রাতৃদ্বয় স্বপ্নের জাল বুনতো,যন্ত্র বানাবার,স্বপ্ন
দেখতো সীমাহীন আকাশকে মুঠোবন্দী করার,স্বপ্ন
বাস্তবায়নের কঠিন সাধনাই অবশেষে পৌঁছে দেয়
সাফল্যের স্বর্গ দ্বারে,তারা পেয়ে যায় সাফল্যের তরী
তৈরী করেন বিষ্ময়কর এক যন্ত্র,যা সভ্যতার চেহারা-ই
পাল্টে দেয়,আবিস্কৃত হয় আকাশে জ্বলজ্বল করে উড়ে
নক্ষত্রের সাথে কথা বলার বিষ্ময়কর এক যন্ত্র-বিমান
যার দ্বারা মানুষ এক আকাশ থেকে অন্য আকাশে উড়ে
যায়,ছুটে চলে নিরন্তর


বেতার আবিস্কারক মার্কোনী ও স্বপ্ন দেখেন কিভাবে
তারের সাহায্য ছাড়া বাতাসের ভেতর দিয়ে সংবাদ
পাঠানো যায়,এ স্বপ্নের কথা সানন্দে বলার পর বন্ধুরা
ভাবলো মার্কোনী পাগল হয়ে গেছে,তাকে মানসিক
ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলো চিকিৎসার জন্য তারা,
ভাবুন তো কি ভয়াবহ অবস্থা!


কিভাবে সংবাদ পাঠক হওয়া যায় এ স্বপ্নে বিভোর এক
যুবক দিনরাত চেষ্টা চালিয়ে যায়,কিন্তু কণ্ঠস্বর রুক্ষ
মরুভূমির মতো হওয়ায় সংবাদ পাঠকের এ প্রার্থীকে
প্রত্যাখান করা হয়,হতাশার সাগরে ডুবে যেতে থাকে সে
অবশেষে অমিতাভ বচ্চন হয়ে সে তরুণ হাজির হয়
আমাদের মাঝে, কি দারুণ কাব্য করেছেন মিঃ বচ্চন
সংবাদ পাঠকের চেয়ে ও কি কম বড়ো সাফল্যের
উপন্যাস রচনা করেছেন তিনি!


এক ছাত্র পড়াশোনায় ছিলো খুবই দূর্বল ও অমনোযোগী
ছোট ছোট অঙ্ক ও সে পারতো না, তার এ অবস্থায় একদিন
তাকে হতাশায় নিমজ্জিত করে শিক্ষক ডেকে বললেন,"তুমি
জীবনে কিছুই হতে পারবে না"-এই কথার পরে ঐ ছাত্র
আকাশের শুকতারার কাছে ছুটে গেলো, নিলোস্বপ্নের দীক্ষা
চালিয়ে গেলো স্বপ্ন সত্যি করার সংগ্রাম,অবশেষে ধরা দিলো
সাফল্য তার কাছে,স্বপ্ন ও চেষ্টা তাকে নিয়ে গেলো
পাহাড়ের চূড়ায়,তিনি সেদিনের সেইবালক মস্তবড়
বিজ্ঞানী আইনস্টাইন


স্বপ্ন আপনা থেকে ধরা দেয় না,স্বপ্নকে দেখামাত্র চুম্বকের
মতো টেনে ধরতে হয়,আর চেষ্টা ও শ্রমের সমন্বয়ে
বাস্তবায়ন করতে পারলে জীবনের স্বপ্ন পূরণ হয়
গম্তব্য সুস্থির করতে হয়,গন্তব্যহীন জীবন তো স্রোতের
শ্যাওলা,এ জীবনে কোথাও পৌঁছাতে পারে না কেউ
জীবনের জন্য অক্সিজেন যেমন,তেমনি বড়ো হবার জন্যও
চাই স্বপ্ন,স্বপ্ন না থাকলে কেউ-ই সফল হয় না


জানতে হয় একাকী পথ চলা জীবনের ছন্দ,সকল আধার
কে জয় করে যে একাকী চলতে পারে, সে-ই খুঁজে পায়
পথের ঠিকানা,ইতিহাসে লেখা হয়ে যায় তার নাম, স্বপ্ন-ই
জীবনের জ্বালানি
কোথায় যেতে চাই,সেটা জানলেই সাফল্যের তরী পৌঁছে
যায় বন্দরে,
রচিত হয় ইতিহাস আর তৈরী হয় ইতিহাসের চরম
উপাখ্যান


বাংলো
জেলা ও দায়রা জজ
সুনামগঞ্জ
রচনাকালঃ ১.০৯ মিঃ
১৭-০৬-২০২০ ইং