আমি যখন রাঁধতে বসি তুই কেনো দিস শিস
পাতার বাঁশীর সুরে আমার মাথায় চড়ে বিষ ।
সময় টময় বুঝিস না তুই সুযোগ পেলেই আসিস
ইচ্ছেমতো তুই কেনো যে আমার পিছেই ঘুরিস।


আসবি যে তুই আমার কাছে করছিনে তো মানা
একটু না হয় দেখিস ভেবে দিন ছাড়া কি হয় না?
বাপ-মা আছে ভাইটা আমার জানতে যদি পারে
গলাকেটে ভাসিয়ে দেবে নদীটির ওই পারে।  


তখন তোমার কি যে হবে একটু ভেবে দ্যাখো
আমার কথা মাথায় তোমার একটুনা হয় রাখো।
দিনের বেলা নাইবা হলো রাত্তিরে তো পাবি
বাঁজবে তখন তোরই হাতে আঁধার ঘরের চাবি।


একটু না হয় দেখেশুনে আসিস কাছে মোর
যখন তখন আসলে কাছে বাঁধবে হট্টগোল ।  
বাপ মা যবে ঘুমিয়ে যাবে বাঁজাবি তুই বাঁশী
বাঁশীর সুরে পাগল হয়ে বলবো আমি আসি।


রাত্তিরে তুই কাছে পেয়ে বলবি ভালোবাসি
বলবো আমিসে কারণেই তোমার কাছেই আসি।
রাত্তিরে সে মশার কামড় পোকার কামড় খেয়ে
চলবো মোরা আর কতোকাল প্রেমের তরী বেয়ে।


এমনি করে প্রেমের বাঁশী আর কতোদিন বাজবে
জানতে পারলে গ্রামের লোকে ছিছি ক'রে হাসবে।
বলছি আমি বারে বারে ভালো যদি বাসো
প্রস্তাব নিয়ে বাবার কাছে জলদি করে আসো ।


আর যদি না পারো তুমি যেতে বাবার কাছে
চলে যাবো সাত সাগরে ভাসবো স্রোতের সাথে।
সেদিন রাতে বাবা আমার বলছে মায়ের কাছে
মেয়েটা মোর বড়ো হয়েছে বিয়ের খবর আছে।


সাত গ্রামের জমিদার সে পোলা চমৎকার
হলে বিয়ে থাকবে সুখে থাকবে চিরকাল।
বলছিলো মা একটু থামো মেয়ের কথা শুনি
আছেকি তার অন্য কেহ একটু না হয় জানি।


বাপটি আমার রেগে গিয়ে বললো মায়ের কাছে
বিয়ে হবে কালকে মেয়ের ঔ ছেলেরই সাথে।
গভীর রাতে মা যে আমার ফিসফিসিয়ে কয়
বিয়ের কথা বাপের সাথে  বলাই হলো দায়।


কি হয়েছে কও না আমায় একটু না হয় খুলে
বিয়ের জন্য ঠিক করেছে জমিদারের ছেলে।
নাও না আমায় ঘরে তুলে নাও না তাড়াতাড়ি
নইলে আমি চলে যাবো জমিদারের বাড়ী ।


আর কতোকাল এমনি করে রাত্রি হবে ভোর
বুঝবে যখন যাবো চ'লে কাটবে তবো ঘোর।
ভাের হয়েছে ডাকছে পাখি ভাসছে আযান সুর
তোমার আমার প্রেমের বাঁশী বাঁজবে কতোদূর।


একটু দাড়াও সবুর করো আর কিছুটা কাল
তোমায় নিয়ে থাকবো সুখে থাকবো চিরকাল।
কালই যাবো প্রস্তাব নিয়ে তোমার বাবার কাছে
করবো বিয়ে তোমায় আমি বলবো তারি কাছে।


প্রস্তাব শুনে বাবা তোমার যদি রেগে যায়
ভাসবো আমি তোমায় নিয়ে ভাসবো সাগরময়।