পড়তে আমার মন বসে না ভাল্লাগে না কিছু
বাপ-মা কেনো মিছেমিছি লাগে আমার পিছু?
ভাবছে তারা হয়তো আমি হবো অনেক বড়ো
কিন্তু বাবা তা হবে না যতোই আশা করো।


আমার শুধু ইচ্ছে করে নদীর ধারে খেলতে
মাঝির সাথে নৌকা বেয়ে মাঝির মতো চলতে।
রাখাল যখন বাজায় বাঁশী হরেক রকম সুরে
পাগল আমি হই তখনই হারাই অচীন পুরে।


গাঁয়ের রাখাল বাজায় বাঁশী মিষ্টি মধুর সুরে
পাখপাখালী বনের যতো আনন্দে যায় ঘুরে।
লেখাপড়া চাই না আমি সুযোগ যদি পাই
চলে যাবো এক নিমেষেই খেলার মাঠে তাই।


স্কুল আমার ভাল্লাগে না যেতে নাহি চাই
ঘন্টা দিলেই আপনা হতে আঁতকে উঠি তাই।
বাপ-মা আমায় বকে শুধু পড়িস না ক্যান্ বল্
আর না হলে আমার সাথে লাঙ্গল চষবি চল্।


ঘন্টা দিলেই আপনা থেকে কাঁপতে থাকে বুক
ভয়ের চোটে যায় শুকিয়ে আমার ছোট্ট মুখ।
ক্লাস যখন চলতে থাকে বাইরে থাকে চোখ
শালিক নাচে গরুর পিঠে আনন্দে খায় পোক।


টিচার যখন আমার দিকে আড় নয়নে চায়
প্রাণটা তখন দেহ থেকে আপনি উড়ে যায়।
ক্লাসে যখন পড়ায় টিচার বুঝি না তার কিছু
টিচার কেনো লেগে থাকে মিথ্যে আমার পিছু?


বোর্ডে টিচার কষলে অঙ্ক আমার মনে হয়
তেলাপোকা যাচ্ছে হেটে পাহাড় সাগর ময়।
টিচার যখন ধরে পড়া হাবার মতো চাই
পড়েছিলাম রাতের বেলা কিছু মনে নাই।


টিচার এবং বাপ-মা মিলে জ্বালায় আমায় খুব
নদীর ধারে পালিয়ে যাবো দেবো সেথায় ডুব।
তোমরা যখন পড়ছো পড়া মানুষ হবার জন্য
মানুষ ছাড়া আমি না হয় হবো কিছু ভিন্ন। 


এ সংসারে এমন কিছু ছেলে খুঁজে পাবে
জীবন তাহার ছেলেখেলা কিচ্ছু না সে হবে।
মা-বাবার কষ্ট কভু বুঝতে না সে চাবে
চলবে তাহার ইচ্ছে মতো যা হয় শেষে হবে।