হাইস্কুলে পড়ার সময় পরীক্ষা হলে শেষ
কবিতা পড়বো নাচতাম আমি নাচতাম অনিঃশেষ ।
পল্লী কবি জসীমউদ্দিন বাংলা মায়ের ছেলে
যা ছিলো সব পাখির মতোন লিখতো সবই খুলে।


পল্লী কবির সকল বইয়ে পাতায় আমার নাম
পাঠে আমি মুগ্ধ হতাম পাঠ ছিলো তাই কাম।
কিবা কবো কবির কথা কিবা তার ই গল্প
মাঝে মাঝে ছিঁড়তাম পাতা আছে মনে অল্প।


ক্লাসটিচার সালাম স্যার একদিন আমায় বললেন
এ-ই যে কবি ওয়াহিদ সাহেব জরিমানা কি গুনলেন?
বিনয়ের সাথে বললাম স্যার বুঝলাম না যে কিছু
তবে ক্যানো নিলেন স্যার মিথ্যা আমার পিছু!


মিথ্যা মিথ্যি কইনি কবি জরিমানা গুনতে
তুমি যদি আমার কথা নাম না লেখে শুনতে।
বই পড়েছো নাম লিখেছো দুঃখের কিছু ই নাই
এবার খাতায় জরিমানার টাকা লিখতে চাই।


বললেন ডেকে বাড়ি গিয়ে মায়ের কাছে বলো
তোমার ছেলে পাপ করেছে টাকা দিতে চলো।
জরিমানা দু'টাকা আর একটাকা যে ফাইন
সালাম স্যার কঠিন মানুষ কঠিন তারী আইন।


পান সুপারী চালের ঘড়া হাতাহাতির পর
বললো মাগো চলরে বাবা ফাইন দিতে চল্।
মাকে আমার সাথে করে চললাম স্যারের কাছে
স্যার যে আমার মাকে পেয়ে মুচ্ কি মুচ্ কি হাসে।


অবশেষে দিলাম ফাইন দিলাম জরিমানা
বইয়ের পাতায় আর কখনো নাম লিখিও না।
আর্তনাদ আর কষ্টে সৃষ্টে মায়ের সাথে বাড়ি
ফিরলাম শেষে অবশেষে মুখখানা মা'র ভারী।


হায়রে সাধের মা জননী ছেলের অপরাধে
কাঁদলো শেষে মলিন মুখে কাদলো স্বয়ংবোধে।
আমি ও ঠিক তেমনি করে মনের মনিকোঠায়
ঠুকলাম পেরেক ঠাস বুনটে ঠুকলাম চিলেকোঠায়।


বইয়ের পাতায় নাম লেখার সে হৃদয় ছোঁয়া কান্না
আর কখনো হবে না মা মার শেখানো গান্না!
শিক্ষা নিলাম মা'র থেকে তাই নিলাম গুরু হতে
আইন কানুন মানতে হবে মানতে বড়ো হতে।


প্রকাশস্থানঃ
বাংলো
জেলা ও দায়রা জজ
সুনামগঞ্জ ।


প্রকাশকাল-
সময়ঃ ০১-০২মিনিট
তারিখঃ
বাংলা=         ১৪২৭
ইংরেজী=০৬-০২-২১