বর্তমান সমাজে বেকার বধিরাম,
এদের সাথে আছে দুষ্টু যত পটারাম,
সবে মিলে একসাথে করে শুধু মাস্টারাম।
এভাবেই দিনে দিনে হয়ে ধ্বজভঙ্গ,
জীবন লীলা যবে হতে যায় সাঙ্গ,
কতোখানে ছুটে চলে, করে কত রঙ্গ।


কবীরাজের কাছে আছে যত ভেষজ,
হকারের কাছে পায় যত ঔওষুধজ;
              খেয়ে সবি করে সাবার
তবে পায়না সেথা কোনো উপকার।


অবশেষে ছুটে যায় ডাক্তারের চেম্বারে।
জানের ভয় যবে প্রাণে ধরে,
মুখের জড়তা সহজে ছাড়ে।
গোপন কথা সব প্রকাশ করে-
আস্তে  করে  বলে  মুখটি  খুলে:
অপকর্ম যেখানে যা করেছে ভুলে ভুলে।
যেন কোনো ভাবে সে তার, একটু হিত করে।


ডাক্তার সাহেব ভালো মানুষ, বুঝিয়ে বলেন সব।
এসব কাজ করলে পরে হওয়া যায়না কিন্তু বাপ।


কুসঙ্গ অপসঙ্গ করতে হবে ত্যাগ
হাতে তার ধরিয়ে দিয়ে ছোট্ট একটা ব্যাগ।
বলেন বাবু ডাক্তার মশাই:
নিয়মগুলো সব লক্ষ্য করে,
খাবে কিন্তু অল্প করে।
দিয়েছি ওষুধ দেশি,
তাই কাজ হবে বেশি বেশি।


মেয়েরাও তো সমঅধিকার
উচ্চ  স্বরে  দাবি  করে সদাই।
অনিচ্ছা সত্ত্বেও তাদের ব্যাপারে
দু'য়েক কলম লিখে যাই।


তারাও কিন্তু এ পথ ধরে
                এগিয়ে চলেছে দূরদূরান্তে।
কত জনেই তো বিপদে পরে,
             আসে দিবা কি রাতের অন্তে।
বলে এসে, আটকে গেছে,
              সবজি কিংবা বতলের ছিপি।
সমাধান দিতে হয়েছে
            এমনি  কত  শত পাপি তাপি।


অন্তঃপুরে জমেছে যাদের অফুরন্ত ব্যথা।
উপদেশ স্বরূপ বলে যাই মনীষিগণের কথা:
ডাক্তারের বউ হতে পারলে অনেক লাভ আছে,
গোপন প্রকাশ করতে হয় না,পর পুরুষের কাছে।


১৬/০৬/২০২২
ফরিদপুর।