দূর দেশে যাব বলে,
        কোনো এক দিবা কালে।
লাফিয়ে চড়িলাম আমি
               চলন্ত ট্রেনের ঘাড়ে।
পেলাম সেথা মোটে দাঁড়ানোর জায়গা,
        গায়ে গায়ে লেগে যায় গা।


শত পীড়া সয়ে দাঁড়ালাম যখন ,
         হাতে ছিল ব্যাগ একখানি।
চপ্পল জোড়া ছিড়ে গেছে কখন,
             তাহা আমি নাহি জানি।


বিষম কষ্ট হচ্ছে তবুও করার নেই মোর কিছু,
অতি কষ্টে দাঁড়িয়ে আছি মাথাটা করে নিচু।
বুঝতে পারলাম পরেছি আমি ভীষণ বিপদে,
ফিরতে হবে আজি বাড়ি; পাদুকা শূন্য পদে।


ক্ষোভ নেই তবু বসার জায়গা যদি কভু যায় মিলে,
কষ্টের কথা স্বপ্নের মতো যাব একদিন ভুলে।
ছেঁড়া চপ্পল বাড়িতে ফিরিয়া করিব মেরামত,
দেখিয়ে দিব কেরামত আলীর আজব কারামত।


কিছুদূর যেতেই ট্রেনটি বাজালো তার হর্ন।
ভাবলাম আমি এতে বুঝি হয় কল্যাণের বিধান।
আমারও তো ঈদৃশী যন্ত্রণা হতে মুক্তির প্রয়োজন।
হর্ন বাজিয়ে করে ফেলি তবে বিপদের সমাধান।


অনেকক্ষণ ধরেই পায়ূ পথে মোর জমে ছিল কিছু বায়ু,
সশব্দে ছেড়ে দিলাম উহা বধ হল লোকের স্নায়ু।
ভাবিলো যাত্রীরা ট্রেনের বুঝি ঘটিল অঘটন,
এক্ষুনি বুঝি রেলপথ হতে ট্রেনের ঘটিবে পতন।


ভয়ে সকলেই ট্রেন ছেড়ে দিল করিল পালায়ন,
বিপদ কেটে গেল সহজেই হল কল্যাণের বিধায়ন।
জনমানবহীন ধুধু মরু চর ট্রেন হয়ে গেল ফাঁকা,
মন আনন্দে ট্রেনের সফর করছি আমি একা।


অপেক্ষা করো বন্ধু, অদৃষ্টে থাকে যদি লেখা,
বসন্ত পুরের স্টেশনেই তোমার সাথে হবে দেখা।


২৩/১০/২২