১.

জেগে ওঠো বাংলা!
রক্তমাখা তোমার পবিত্র মাটিতে
আবারও বুনেছে বিষবৃক্ষ—
ত্রিমুখী ষড়যন্ত্রের কালো ছায়া!

একদিক থেকে হুহু করে হুংকার দেয় পাকিস্তানি বীজ,
অন্যপাশে আমেরিকার মুখোশপরা দাবার ঘুঁটি,
আর মাঝখানে দাঁড়িয়ে—
ঘরের ভিতর ঘাতক, বাংলাদেশের নতুন মীরজাফর!

তারা ভাবে,
তারা ভাবেই,
তাকে থামানো যাবে?
আহা, কত বড় ভুল!
কারণ তিনি শুধু একজন কন্যা নন—
তিনি বাংলার প্রজ্জ্বলিত প্রতিশোধ!

তার চোখে ছিল পিতার অগ্নি,
তার কণ্ঠে ছিল সাতই মার্চের বজ্রবাণী,
তিনি যখন বলেন “বিচার হবে”—
আকাশ থরে থরে কেঁপে ওঠে,
আর রাজাকারেরা খোঁজে পালাবার পথ!

তারা চেষ্টা করে,
তারা ষড়যন্ত্র বোনে,
তারা মিথ্যার রাজ্যে ঢেকে দিতে চায় সূর্যের আলো,
কিন্তু জানে না—
বাংলা মাটি যখন জাগে,
তখন শত সহস্র বীর জেগে ওঠে!

জেগে ওঠে হালের কৃষক, নদীর মাঝি, রেলগাড়ির কুলি,
জেগে ওঠে শহরের ছাত্র, গ্রামের গৃহবধূ,
জেগে ওঠে এক অদৃশ্য আগুন,
যার নাম—প্রতিরোধ!

আজও শপথ উচ্চারিত হয়—
"আমরা বাংলাদেশ বিক্রি হতে দেব না!"
"আমরা ইতিহাস মুছে ফেলতে দেব না!"
"আমরা তার হাত শক্ত করবো!"

তুমি দেখো,
তুমি শোনো,
এই প্রতিধ্বনি শুধু কথার ঝড় নয়,
এ এক জনতার আগুনে জবাব,
যা পুড়িয়ে দেবে সব বিশ্বাসঘাতক চক্রান্ত!

জয় বাংলা শুধু স্লোগান নয়—
এ এক দুঃসাহসিক বিদ্রোহের কবিতা।
এ এক আশীর্বাদ,
যার শেষ শব্দ ইনশাআল্লাহ!

২.

অন্ধকার নামে, তবুও জ্বলে—
একটি নাম!
পিতা যেখান থেকে থেমেছিলেন,
সেখানেই দীপ্ত শপথ গাঁথা।

রাজাকাররা কাঁপে, বিচার যখন নামে বজ্র হয়ে,
একটির পর একটি মুখোশ খসে পড়ে আলোয়।
পাকিস্তানি বীজ, আমেরিকার ছায়া,
আর ঘরের মীরজাফর—জোট বাঁধে ত্রিমুখী ছায়াপথে।

কিন্তু ইতিহাস কি ভুলে যায়?
রক্তে লেখা হয় যারা,
তাদের ধ্বংস হয় না ষড়যন্ত্রের কালি দিয়ে!

বাংলার বুক থেকে শুনি আজও—
মাটির গন্ধে মিশে আছে লাশের হাহাকার নয়,
বরং আছে লক্ষ কোটি জনতার জেগে ওঠা পায়ের শব্দ।

তারা আসবে—
ধানখেত থেকে, চা-বাগান ছুঁয়ে, নদীর ঢেউ পেরিয়ে,
মাঠে-মাঠে প্রতিরোধের জ্বালানির মতো জ্বলে উঠবে
দেশপ্রেমিক হৃদয়ের দাবানল।

তারা রুখে দেবে—
দেশ বিক্রির দলিল, বিশ্বাসঘাতকের কলম,
আকাশ থেকে মিথ্যা নামানো প্রতারণার ভাষ্য।

এটাই শপথ,
এই বাংলায় সত্য একদিন উজ্জ্বল সূর্য হবে,
তার হাত ধরা গণমানুষ আবার বলবে—
"আমরাই বাংলাদেশ, আর কোনো দাসত্ব নয়!"