সান্ধ্যোকালীন স্মৃতি
জহিরুল ইসলাম


একটা স্বপ্নিল অতীত স্মৃতি নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছি পৃথিবীর পথ ধরে,
আমি হাঁটলে সেই রঙিন স্মৃতিরা ও আমার সঙ্গী হয়ে হেঁটে চলে;
আমি কাঁদলে সেই রঙিন স্মৃতিরা ও আমার সঙ্গে কেঁদে উঠে ঠুকরে!
আমি কথা বলতে গেলেই মুখ ফসকে স্মৃতিরা ও জেগে উঠে কথা বলে।


আজকাল আমার কোথাও মন টিকে না কোথাও মন বসে না
আমার মন পড়ে আছে প্রাচীন এক বিষন্ন রঙিন সন্ধ্যায়!
যেখানে ছিলো স্রোতস্বিনী নদী,তার উপরেই একটি রেললাইন,
যেখানে সেদিন সুর্য ছিলো নববধূর শাড়ির মতো লাল টুকটুকে।


যেখানে কফির কাপে উঠেছিল সফেদ ধোঁয়া আর ছিলো;
এক জোড়া হাতের প্রতিশ্রুতিতে মাখা মুখোমুখি কথোপকথন্
সেদিন চোখে ছিলো একরাশ স্বপ্ন আর মনে ছিলো উচ্ছ্বাস ভারি,
আমি সেই আলোকিত সন্ধ্যার কথা ভুলবো না হয়তো কোনকালে।


সেই সন্ধ্যার স্মৃতিরা আমার মগজে পায়চারি করে প্রতিনিয়ত,
এমন সন্ধ্যার আলো ছিলো না আর কোন কালে কোনদিন।
সেই সন্ধ্যায় নদীর ধারে ফুটেছিল কাশফুল আর বুনো ফুল,
দুর কোথা থেকে বেজেছিল সেদিন মন মাতানো প্রেমের গান।


সড়কের পাশে সারিবদ্ধভাবে জ্বলেছিলো নিয়ন আলো আর আকাশে একফালি চাঁদ,
আমি সেই আলো উপেক্ষা করে তাকিয়ে ছিলাম তার চাঁদ মুখের দিকে।
সেখানে দেখেছি এক উজ্জ্বল স্বপ্ন আর অঘোম প্রেমের অব্যক্ত কথামালা,
সেদিন আমি নতুন করে বাঁচার জন্য আকুল হয়ে ছিলাম এক মূহুর্তের জন্য।