পুরুষের যোগ্যতা
জহিরুল ইসলাম


কয়েশ কোটি স্পার্মের সাথে তুমুল প্রতিযোগিতা শেষে;
একদিন আমার জন্ম হয় নবজাতক শিশু হয়ে,
সেদিন হতে একদল উচ্চ মগজ বিশিষ্ট প্রাণ
আমাকে পৃথিবীতে পরিচয় করিয়ে দেয় পুরুষ বলে।


সেদিন হতে আমি নিজেকে পুরুষ হিসেবে প্রমাণ করতে নেমে পড়ি,
এই প্রতিযোগিতাময় বিপুলা পৃথিবীর যোগ্যতার মঞ্চে।
সময়ের পথ ধরে চলতে চলতে শিখে যাই
জীবনের সমস্ত জটিলতা চিনতে শুরু করি অচেনা পৃথিবীর রহস্য,
আমাকে পুরুষ হিসেবে প্রমাণ করার জন্য করতে হবে নাকি সুঠাম দেহ!
পকেট ভর্তি টাকার নোট আর মগজ ভর্তি চিন্তার মোড়কে;
পৃথিবীতে একদল পুরুষ নিয়মিত নিজেকে যোগ্য প্রমাণ করতে ব্যস্ত,
পরিপাটি জীবনের অনিশ্চিত স্বপ্ন ডিঙিয়ে বেঁচে থাকে এই শহরের পুরুষেরা।


যাদের নিজস্ব দুঃখবোধ থাকতে নেই যাদের চোখে জল থাকা বারণ,
এই শহরের পুরুষেরা কাঁদে না এই শহরের পুরুষেরা ব্ডড কর্পোরেট মানুষ।
ফর্মাল পোশাকের ভাঁজে লুকিয়ে রাখে চোখের জল বস্তা ভরে রাখে আবেগ,
এই শহরের পুরুষেরা একা তৃষ্ণার্ত পাখির মতো ঘুরে বেড়ায় অলিগলি।


এই শহরের পুরুষদের নিঃস্বার্থ ভাবে ভালোবাসা বারণ প্রেমে পড়া নিষিদ্ধ,
যার পকেট যতবেশি চকচকে তাকেই ভালোবাসে এই শহরের মানুষজন।
কংক্রিটে ঢালাই করা দালান কোঠার ভিড়ে হারিয়ে যায় এই শহরের পুরুষেরা,
চাপা পড়ে ওদের অভিমান ভরা মুখ লুকিয়ে যায় এক চিলতে হাসি।