(তাকিয়ে থাকা ছাড়া উপায় ছিল না, স্বাধীন দেশে পথিক পরাধীন, একটি বাস্তব ঘটনা অবলম্বনে)


চৌরাস্তার মোড়ে, দিলাম দৌড় জোড়ে…
দশ হাত দূরে গাড়ি, ছুটছি তড়িঘড়ি। মারলো এক পায়ে বারি মুখে বললো সরি!!
হসি মুখে প্রশ্ন করে মোরে-কোথায় চলছো তোড় জোরে?
-বিশ্ময়ে তাকাই!!
অচেনা তবু হাত দিলো বাড়াই !! কি চিনতে পার নাই? অসুবিধা নাই অসুবিধা নাই,
-ভয়ে আতঙ্কে একটু থমকে দাড়াই!!
আবার ওরা জিজ্ঞেসিল মোরে, কোথায় যাও প্রত্যুষ ভোরে?
-উত্তরে, আমার তাড়া আছে ভাই, আমি চলে যাই ?
যাই বলতে নাই, পিস্তলটা পেটে দিল ঠেকাই। ঘাড়ের উপর অন্য হাত বাড়িয়ে, হাসি মুখে খুব খাতির জমিয়ে-
তাড়াতাড়ি বল -কাকে কাকে চিনিস এই মহল্লায় ?
-কাউকে না ।কাউকে চিনি না, আমি নতুন এলাকয়।
বেশ ভালো। থানার ওসি, বড় ভাই কেউ চেনা জানা নাই ?
-না ভাই, আমার কাজ আছে আমি যাই।
চুপ চাপ দাঁড়া। কোন কথা না, হবে না কোন শব্দ।
-আমি হয়েগেলাম স্তব্দ।
পিস্তলটা ঠেকালো এবার কানের নিচে,
একজন সামনে একজন পিছে-তাড়াতাড়ি বের কর যা যা আছে।
পাশে আরো তিনজন চাকু হাতে। বের করে নিল যা ছিলো মোর সাথে ।
আমি স্তব্দ হতবম্ব শুধু তাকিয়ে রই…………।


মোঃ মালেক জোমাদ্দার
উত্তরা,ঢাকা।