আমার মাথার উপর আকাশ নীল;
নদী বয়ে চলে কলতানে মাটির বুকে-
আমার বুকে!
আমার অনন্ত কোষ ঝরে জন্ম যে মৃত্তিকার;
কিংবা অজস্র কনার অদ্ভুত সহযোগে আমি!
সহস্র স্পন্দন বহে আমার বেচে থাকার চিহ্ন,
তোমার স্পর্শ আমার আমার সঞ্জীবনী সুধা!
অমেধ অয়ুত মুহুর্ত গ্রাস করে প্রাণের ক্ষুদ্র আয়ু;
তোমার অমৃত ধারা সৃজয় প্রাণ!
দুরন্ত নেশায়; বাধে বিচিত্র মায়ায়-
রচে প্রণয়।
দ্বাদশ স্বর্গ পাই তোমার বুকে!
এক রতি অমৃত পাই তোমার ওষ্ঠে;
প্রগাঢ় আনন্দ রচে তোমার মুহুর্ত আলিঙ্গন।
পঞ্চ অঙ্গুলি জড়ায়ে হাজার অনিন্দ্য ক্ষন,
জমা হয় মস্তিষ্কের স্তরে স্তরে।
ওই দূরে, অনাগত কোন অজ্ঞাত সভ্যতার ভীড়ে-
তোমার আমার ক্ষনিক মিলন রচিবে ইতিহাস।
অঙ্গে জমা হওয়া আকুল আকুতি থাকুক অনন্ত,
ক্ষনিক বিরহ ঝড় তোলে প্রবল দীর্ঘশ্বাস;-
লাল পারিজাত কুসুমের মতো ফুটে থাকো হে চিরবসন্ত!
লাল লিপিস্টিক মুছে যাক প্রবল আগ্রাসে;
আমার প্রতি অঙ্গে চিহ্ন থাকুক তোমারে ভালোবেসে।